1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩১ অপরাহ্ন

মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি চাকরিজীবীরা পাবেন অন্য সুবিধা,তাহলে এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা কি? এ রাষ্ট্রের কোন কাজ করে না।

  • Update Time : শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৯৪ Time View

আজব এক দেশে আমরা বসবাস করি যেখানে দেশের সবাই সকল সময় কিভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ঠকানো যায় সেই চিন্তাতে ব্যস্ত থাকে। প্রতিনিয়ত এদেশের আমলারা শুধু তাদের পকেট কিভাবে ভারী করা যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত। আর আমাদের দেশের সরকার ও তাদের সকল কথা ও কাজে সায় দেওয়ার জন্য ব্যস্ত।

মাননীয় সরকার প্রধান আমরাও তো এদেশের বসবাস করি, আমরাও তো এদেশের উন্নয়নে ভুুমিকা রাখি, আমরাও তো শুধু শুধু উন্নয়নে ভুমিকা রাখি না রীতিমতো আয়কর প্রদান করে অর্থনৈতিক ভাবে অবদান রাখি। তাহলে প্রতিক্ষেত্রেই আপনারা আমাদের ফাঁকি দেওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকেন কেন। সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিলে অতীতের ধারাবাহিকতায় তা আমরাও পেতাম তাই সেটা বাদ দিয়ে নিম্নের এই সুবিধা দিচ্ছেন যাতে শুধু সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরাই পায়। তাহলে কি আমরা ধরে নিব আপনি শুধু এদেশের আমলাদের সরকার। এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের কেউ নয়।

সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কি অযাচিত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা একটু আমরা নিচের বিষয় ভাল করে দেখিঃ

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) ও প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিলে (সিপিএফ) টাকা জমা রাখার বিপরীতে মুনাফা হার গত অর্থবছরের মতই ১১ থেকে ১৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য এ হার নির্ধারণ করে বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে মুনাফা মিলবে ১৩ শতাংশ। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ শতাংশ এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি টাকা জমা রাখার বিপরীতে ১১ শতাংশ মুনাফা মিলবে।

জিপিএফ-সিপিএফে টাকা রাখলে সরকারি কর্মচারীরা একসময় ১৩–১৪ শতাংশ সুদ পেতেন। এই হারকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কমিয়ে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছর এ হার অব্যাহত ছিল। বুধবার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে একই সুদহার বহাল রাখা হয়। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদও এত বেশি নয়—সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

একসময় সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফে টাকা রাখতে পারতেন। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ সুদের হার না কমিয়ে জিপিএফে টাকা রাখার সীমা কমিয়ে মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। যেসব কর্মকর্তা–কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের মতো সিপিএফভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংগতি এক রকম না হওয়ায় তারা নিজস্ব আর্থিক বিধিবিধানের আলোকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের জন্য জিপিএফের স্লাবভিত্তিক মুনাফার হারকে সর্বোচ্চ ধরে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী মুনাফা হার নির্ধারণ করতে পারবে।

পড়েছেন ভাল করে দেখেন কিভাবে এদেশের সরকার ব্যবস্থা এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে একচোখা নীতি প্রয়োগ করছে। সরকারী চাকুরীজীবিদের একের পর এক সুবিধা দিতে এদেশের সরকার ব্যস্ত। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের ১০% টাকা অন্যায়ভাবে কর্তন করা হয় তার কোন সুব্যবস্থা আজ অব্দি করা হলো না। এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের শেষ সময়ের জমাকৃত ৬ হাজার কোটি টাকা এদেশের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চুরি হয়ে যায় তার কোন হদিস আমাদের সরকারের থাকে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme