মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৯৮ হাজার যাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা বেতনের দীর্ঘসূত্রীতা। আর এর কারণে আমরা প্রতিনিয়ত প্রতি মাসে দেরিতে বেতন পাই। সেই সমস্যার সমাধানের দাবী আমাদের দীর্ঘদিনের। সেই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের নিকট আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল যে অন্তত মাসের শুরুতে যেন আমরা আমাদের বেতনটা পাই। এদেশের কোন সরকারই আমাদের সেই দাবী কর্ণপাত করেনি। আমাদের সমস্যা সমাধানের তেমন কোন চেষ্টা করেননি। মাঝে মধ্যে কিছু প্রতিকার পেলেও তা কিছুদিন পরই আবার যে লাউ সেই কদু।
এ সমস্যা সমাধানে এ সরকার যখন ঘোষণা দেয় যে, আগামী জানুয়ারী ২০২৫ থেকে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর বেতন সরকার ইএফটির মাধ্যমে প্রদান করবে। তখন সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী আশায় বুক বেঁধেছিল যে, এতিদিনে বুঝি আমাদের সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু হায়! বিধিবাম সরকারের ঘোষণা মতে সকল শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির তথ্য যাচাই বাছাইয়ের নামে আমাদের বেতনের প্রদানের যে জটিলতা মাউশি সৃষ্টি করবে তা স্বপ্নেও তো আমরা ভাবিনি। যে কাজ অতি সহজেই করা যায় অতি অল্প সময়ে করা যায় সেই কাজ করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে।
বর্তমানে সকল শিক্ষক কর্মচারী তথ্য ইএমআইএসসেলে রক্ষিত আছে কিন্তু তা সত্ত্বেও নতুন করে তথ্য নিয়ে সকল শিক্ষককে বিভ্রান্ত করা। যা কখনও কাম্য নয়।
এরপর আবার তথ্য যাচাই বাছাই শেষ করার পর নতুন নাটক শুরু করেছে মাউশি। বেতন আজ কাল পরশু করে দিনের পর দিন অতিবাহিত করছে কিন্তু শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন তাদের নিজ ব্যাংক একাউন্টে সেন্ড করছে না। লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মচারীর আর্থিক অনটন নিয়ে ছেলেখেলা করছে।
ইএফটির মাধ্যমে বেতন প্রদানের কারণ হলো যেন আমরা সময় মত বেতন পাই। কিন্তু এখন তো সময়মত দুরের কথা সময় শেষ হওয়ার পরও তো আমরা আমদের পাওনা বুঝে পেলাম না।
আসলে যে কোন সিষ্টেম আমরা তৈরি করি না কেন? তা কিন্তু পরিচালিত করবে মানুষ। কিন্তু সেই মানুষের মধ্যে যদি ষড়যন্ত্র লুকিয়ে থাকে তাহলে সিষ্টেম কি সঠিক ভাবে পরিচালিত হতে পারে। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “সরষের মধ্যে যদি ভূত লুকিয়ে থাকে তাহলে ভূত তারাবে কি দিয়ে” ।
ইএফটি সিষ্টেম পরিচালিত করে মানুষ কিন্তু তার পিছনে সকল কাজ করে মানুষ। আইবাস++ শুধু টাকা গ্রাহকের হিসাব নম্বরে পৌছে দেয়। তারা টাকা তৈরি করে না। তারা বাজেট পাস করে না। তারা কত টাকা লাগবে তার হিসাব করে না। এই সকল কাজ কিন্তু মানুষ করে। কিন্তু সেই মানুষ গুলো যদি সময়মতো সেই কাজ গুলো না করে তাহলে সময় মতো আমরা আমাদের বেতনের টাকা পাব কি করে।
iBass++ মূলত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি Core Banking & Digital Transaction Management System, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি BEFTN, RTGS, NPSB এবং MFS এর মতো পেমেন্ট চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
✅ iBass++ বাংলাদেশ ব্যাংকের BEFTN সিস্টেমের মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার করে।
✅ এই সিস্টেমটি ব্যাচ প্রসেসিং (Batch Processing) ভিত্তিক, যেখানে ব্যাংকগুলি iBass++ এর মাধ্যমে লেনদেনের অনুরোধ পাঠায় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তা পরবর্তী কর্মদিবসে সম্পন্ন করে।
✅ BEFTN সাধারণত বড় অংকের লেনদেন এবং বেতন পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এইভাবে যদি আমাদের বেতন প্রদানে জটিলতা তৈরী করে ইএফটি সিষ্টেম। তাহলে আমি এখনই বলছি যে আপনারা হয়তবা পরে বলবেন যে এই ইএফটি কি আমরা চেয়েছিলাম।
Leave a Reply