শিক্ষকদের বৈষম্যে নিরসনের লক্ষ্যে গত 5 অক্টোবর শিক্ষক দিবসে সরকার ঘোষনা দেয় যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ইএফটির মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কমর্রত এমপিওভুক্ত ৩ লক্ষ আশি হাজার শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ১ম ধাপে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদান করে ইএফটির মাধ্যমে। তারই ধারাবাহিকতায় গত১৯ তারিখে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী দ্বিতীয় ধাপে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি)-এর মাধ্যমে বেতনের পেমেন্ট লিষ্ট প্রকাশ করেছেন এবং আপনাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরও বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটিতে ২য় ধাপে বেতন প্রদান করা হবে। আপনাদের সেজন্য সাধুবাদ জানাই। যদিও ২য় শিক্ষক কর্মচারীদের কেউ এখনও বেতনের টাকা বুঝে পায়নি। এবং তৃতীয় ধাপের পেমেন্ট তালিকা কোনদিন নাগাদ প্রকাশ করবেন সে সম্পর্কে কিছু পরিস্কার করে জানাননি।
আমরা কিন্তু কোন ভাল উদ্যেগের বিপক্ষে নই। কিন্তু সেই ভাল উদ্যেগ যদি গ্রহণ করতে গিয়ে অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তাহলে কিন্তু সমস্যা। ছোট খাটো ত্যাগ স্বীকার করতে আমাদের কারও দ্বিমত নাই।
আমি বা আমরা কিন্তু কখনও সমর্থন করি না যারা নকল সনদ ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধরে এদেশ জাতির নিকট ধোকাবাজি করছে। যারা চাকুরী না করেও বেতন উত্তোলন করে ভোগ করছে। আমরা অবশ্যই তাদের শাস্তি চাই তাদের কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি হোক। সেই বিষয়ে কোন ছাড় নাই।
সবচেয়ে বেশি জরুরি আমার মতে যাদের তৃতীয় ধাপেও বেতন আসবে না তাদের করণীয় কি? তাদের সমস্যা কোথায় সেই সমন্ধে পরিস্কার ধারণা দেওয়া। আপনাদের ভাষ্যমতে অনেক শিক্ষক কর্মচারীর নামের বানানে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। অনেক শিক্ষক কর্মচারীর জন্মতারিখে সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা গুলো কিন্তু একদিন এক সপ্তাহে সমাধান করা যাবে না। এগুলো সমাধান করা কিন্তু অনেক দীর্ঘ প্রসেস। সেই দীর্ঘ প্রসেস মোকাবেলা করে তাদের তথ্য তথ্য সংশোধন করতে কিন্তু অনেক সময় লেগে যাবে। সেই সময় শেষ করে তারা কতদিনে বেতন পাবে তা কিন্তু অনেকটা অজানা। তাই তাদের সমস্যাগুলো যদি যত দ্রুত সম্ভব তাদের জানানো যায় তাহলে ভুক্তভোগি শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের সমস্যা গুলো জেনে সেই মতে সংশোধেনের উদ্যোগ নিতে পারে।
সমস্যা সমাধান করতে যদি কয়েক মাস লেগে যায় তাহলে আমাদের হত দরিদ্র শিক্ষক কর্মচারীর কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেছেন। তারপর আর একটা ব্যাপার ভেবে দেখেন সামনে কিন্তু আর একমাস পর রমজান মাস তার একমাস পর ঈদুল ফিতর। একবার একটু মানবিক ভাবে ভাবুন বুঝুন। শিক্ষক কর্মচারীদের কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করুন। আর দীর্ঘ করবেন না আমাদের কষ্টের বোঝা।
দয়া করে আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা আক্রান্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দ্রুত তালিকা মাধ্যমিক শিক্ষা/জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে আমাদের নিকট প্রেরণ করুন। যাতে দ্রুত আমরা আমাদের করণীয় নির্ধারন করে সামনে এগুতে পারি।
দয়া করে আর সময় নষ্ট করবেন না। আর সময় নষ্ট করলে আমদের কিন্তু সামনের রমজান মাসে না খেয়ে রোজা রাখতে হবে। ছেলেমেয়েদের কপালে পুরাতন কাপড়ও জুটবে না। একটু পিতার আসন থেকে সন্তানের দৃুংখ বোঝার চেষ্টা করুন। পরিবারের অভিভাবকেরে জায়গায় থেকে বোঝার চেষ্টা করুন।
Leave a Reply