গত 05 অক্টোবর 2024 শিক্ষক দিবসে সরকার ঘোষণা দেয় যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ এর বেতন প্রদান নিয়ে যে, বৈষম্য রয়েছে তা দুর করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধু স্কুল ও কলেজের এমপিওভুক্ত 380000 হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ইএফটির মাধ্যমে প্রদানের। সেই মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য প্রদানের জন্য মাউশি কর্তৃপক্ষ প্রতিটি স্কুল ও কলেজকে সময় বেধে দেয় অধিকাংশ স্কুল ও কলেজ সেই সময়ের মধ্যে তাদের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীর তথ্য স্থানীয় মাউশি প্রতিনিধির মাধ্যমে মাউশিতে প্রদান করে। যদি প্রত্যেক শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য মাউশি কর্তৃপক্ষের নিকট ছিল তারপরও তারা আবার নতুন করে তথ্য নেয় সকল প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। আসলে এটা ছিল শুধু জটিলতা তৈরি করার একটা উপলক্ষ মাত্র।
আচ্ছা বলুন তো আমরা প্রথমে তথ্য কার নিকট পাঠিয়েছিলাম উপজেলা শিক্ষা অফিসে নয়তবা জেলা শিক্ষা অফিসে। সেই তথ্যগুলো পরবর্তীতে মাউশির নিকট সেন্ড হয়। মনে রাখবেন তথ্যগুলো কিন্তু আমরাই পাঠিয়েছিলাম তাদের নিকট সেটা হতে পারে ভুল হতে পারে সঠিক। সেই তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করে মাউশির নিকট পাঠিয়েছে কে উপজেলা শিক্ষা অফিস অথবা জেলা শিক্ষা অফিস। তাহলে কি তারা ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য মাউশির নিকট পাঠিয়েছে মাউশির নিকট যাতে করে জটিলতা তৈরী হয়। তাহলে কি এই জটিলতা তাদের ইচ্ছাকৃত?
মাউশির স্থানীয় প্রতিনিধি মাউশির নিকট তথ্য পাঠানোর পর মাউশির কিন্তু সরাসরি তথ্য গুলো আইবাস++ কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানোর কথা নয় সে গুলো তারা তাদের মত করে যাচাই বাছাই করার কথা। যাচাই বাছাই শেষে যে সকল কর্মচারীর তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র সেই তথ্যগুলোই আইবাস++ এর নিকট পাঠানোর কথা। আর যেসকল শিক্ষক কর্মচারীর তথ্যের গরমিল ধরা পড়বে সেগুলো কিন্তু সেখান হতেই ফেরত পাঠানোর কথা এবং সেই ঘোষাণা কিন্তু তাদের 1 তারিখেই বা তার আগেই দেওয়ার কথা কারণ তারা এখন বলছে যে 1 তারিখের মধ্যে তারা শুধু মাত্র 189000 হাজার 913জন শিক্ষক কর্মচারীর সঠিক তথ্য পেয়েছে যে গুলোকে তারা 1ম ধাপে বেতন প্রদান করেছে। তাহলে বাকি শিক্ষক কর্মচারীর তথ্যতো 1 তারিখেরে আগেই ভুল ধরা পড়েছে। সেগুলো তখনই যদি তাদের নিকট ফেরত পাঠানো যেত তাহলে কিন্তু এতদিন আবার নতুন করে সঠিক তথ্য পাঠানো হয়ে যেত মোটামুটি। তারা সেটা না করে সামনের দুই একদিন পরের সপ্তাহ ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলে শুধু সময়ক্ষেপন করছে। তারা বাঁকি শিক্ষক কর্মচারির তথ্য ফেরত ও দিচ্ছে না সংশোধন করার জন্য আবার বেতন দিচ্ছে। তাহলে কি এই কথা বোঝা যায় না যে, এই জটিলতা তাদের ইচ্ছাকৃত তৈরি।
মাউশি কর্তৃপক্ষ প্রথমে বলল যে আরও একলক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন তারা আগামী 5-7 দিনের মধ্যে পাঠাবে। তারপর 7 দিনের জায়গায় 15দিন পার হয়ে গেলেও কোন খোঁজ খবর নাই। এখন আবার বলছে 50-60হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন পাঠাবে। তার মানে এই অর্থ দাঁড়ায় যে, তাদের যা ইচ্ছা তাই করবে তাতে কারও কিছু বলার নাই। তাদের ইচ্ছা হলে বেতন দিবে না হলে দিবে না। কারও কিছু করার নাই।
প্রচার মাধ্যমে খবর মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে বেতনের ফাইল রেডি শুধু স্বাক্ষরের অপেক্ষা। তাহলে প্রশ্ন হল স্বাক্ষর করতে কি দিনের পর দিন লাগে। নাকি হাজার হাজার শিক্ষক কর্মচারীর জন্য হাজার হাজার স্বাক্ষর আলাদা আলাদা ভাবে করা লাগছে।
সকালে এক কথা বিকালে এক কথা মুল কথা হল সব কথাই তাদের মনগড়া। কিন্তু প্রশ্ন হলো এ ব্যাপারে কেউ কোন প্রকার প্রতিবাদ ও করছে না। না করার পিছনে কারণ কিছু সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী বেতন পেয়েছে তারা মনে করছে আমরা তো পেয়ে গেছি আর কে পেল তাতে আমার কি? এই ধারণা থেকে আমরা বের হতে পারি না বলেই তো আমাদের কোন সমস্যার সমাধান হয়। আমরা সকলে সকলের হয়ে কাজ করতে পারি না বলেই তো আমাদের সারাজীবন অবহেলিত হয়ে থাকতে হল।
সমস্যা যদি নিদিষ্ট কোন জায়গায় হয় তাহলে তা সনাক্ত করে সমাধান করা যায়। কিন্তু সমস্যার যদি নির্দিষ্টতা না থাকে তাহলে সমস্যার সমাধান কি ভাবে হবে। আর কোন দিন হবে। দেখেন শরীরের নিদিষ্ট কোন জায়গায় যদি ব্যাথা হয় তাহলে তা সনাক্ত করতে আঙ্গুলের স্পর্শ দিয়ে সেই জায়গায় সনাক্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যাথা যদি সেই আঙ্গুলেই হয় তাহলে কিন্তু তা সনাক্ত করা অনেক কঠিন কারণ আঙ্গুল যেখানে স্পর্শ করবে সেখানেই ব্যাথা লাগবে। অথ্যাৎ সমস্যা হলো মাউশির তাই মাউশি সবকিছুই সমস্যা বলে চিহ্নিত করছে।
যে আঙ্গুল দিয়ে ব্যাথা কোথায় সনাক্ত করা যায় সেই আঙ্গুলে যদি ব্যাথা থাকে তাহলে ব্যাথার জায়গায় যেমন সনাক্ত করা যায় না তেমনি আমাদের সমস্যা সনাক্ত করে সমাধান করবে মাউশি উল্টো তাদের মধ্যেই তো সমস্যা তাহলে তারা কি করে সমস্যা সনাক্ত করে সমাধান করবে।
আমাদের সমস্যা যদি এই ধরনের হয় তাহলে সমস্যা সমাধান করবে কে? যাদের সমাধান করার কথা তারাই তো সমস্যা সৃষ্টি করছে? যাদের আমাদের সাহায্য করার কথা, তারাই তো আমাদের হিংসা করছে যে, কেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা আমাদের মত করে মাসের 1ম দিন বিনা টেনশনে বেতন তুলবে? যারা কিনা আমাদের আদেশের উপর তীর্থের কাকের মত চেয়ে থাকে কখন কোন দিন আমরা বেতনের অর্ডার পাশ করে দেব তখন তারা বেতন তুলবে। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে আশ্রিতাদের রক্ষা করবে কে? তাদের সমস্যার সমাধান করবে কে? কোন বাড়ির মালিক যদি চোর হয় তাহলে কিন্তু সে বাড়িতে চাকর বাকর কাজ করতে পারে না। তাই বলি যে, আমাদের সমস্যা সমাধান কোনদিন হবে, কে করবে, কিভাবে করবে, বলা মুশকিল। যার কোন দিন ক্ষণ তারিখ নাই।
Leave a Reply