এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে তা সহসাই কাটছে বলে মনে হয়। মাউশি কর্তৃপক্ষ যে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে তাতে এই পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা বলা সত্যি সত্যি মুশকিল। মাউশি কোন সঠিক তথ্য দিয়ে শিক্ষকদের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি স্থিথিশীল করার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ কোন ভুমিকা পালনে মনোযোগী নয়।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ইএফটিতে দ্বিতীয় ধাপের বেতন চলতি সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আদৌ কোনদিন কখন শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের বেতন অথ্যাৎ 2য় ধাপের বেতন পাবে তার কোন প্রকার নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে না পারায় এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। কোন দিন বা কোন তারিখে তাদের এ তথ্য যাচাই বাছাই শেষ হবে হবে সেটাও বলা মুশকিল। তারপর তো আর অন্যান্য কার্যক্রম আছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে। তারা পরিস্কার কোন তথ্য জানাতে পারেনি। তারা যতটুকু জানিয়েছে তা হতাশাজনক। মানার মত নয়, হাস্যকর এবং পরিস্কার দায়িত্বজ্ঞানহীন।
ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন অফিস থেকে শিক্ষকদের ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ভোটার আইডিতে থাকা তথ্য ইএমআইএস সেলে থাকা শিক্ষকদের ডাটার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেক শিক্ষকের বড় ধরনের ভুল রয়েছে। আবার অনেকের ছোট ছোট কিছু ভুল আছে।বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটিতে দ্বিতীয় ধাপের বেতন চলতি সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে না পারায় এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এখানে প্রশ্ন হল এতদিন বলা হয়েছে যে, শুধু এনআইডি কার্ডের তথ্যের সাথে পাঠানো তথ্যের মিল করা হবে। এখন বলা হচ্ছে তাদের কাছে থাকা তথ্যের সাথে তথ্যের মিল করা হবে। এখন প্রশ্ন হলো কোন তথ্যের সাথে কোন তথ্যের মিল করা হবে বা হচ্ছে সেটা কিন্তু পরিস্কার নয়। শিক্ষক কর্মচারীরা যখন তাদের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদেন করেন তখন তারা যে তথ্য দিয়েছিল সে তথ্যের আলোকে যে এমপিওভুক্তি করেছিল তখনই নানা প্রকার ভুল দেখা যায়। এতদিন কোন সমস্যা দেখা দেয়নি বিধায় সে তথ্যগুলো সংশোধনের প্রয়োজনীয়তাও দেখা যায় নি। বিভিন্ন সময় যে তথ্যগুলো মাউশি কর্তৃপক্ষ শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট নিয়েছে তা সম্পর্কে এতদিন তারাও কোন প্রকার ফিডব্যাকও দেয়নি যে আপনার বা আপনাদের প্রতিষ্ঠানের এই সকল শিক্ষক কর্মচারীর তথ্যের সমস্যা রয়েছে তাদের এই সমস্যা গুলো ঠিক করা প্রয়োজন তাহলে এখন কেন এই সমস্যার কথা বলা হচ্ছে যে, আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তার সাথে তথ্যের অমিল। তথ্যগুলো তারা এতদিন ঠিক করল না কেন? তারা কেন সকল শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য সঠিক ভাবে যাচাই বাছাইয়ের আগে এভাবে তড়িঘড়ি করে ইএফটি বাস্তাবায়ন করতে গেল। যতদিন সকলের তথ্য যাচাই বাছাই শেষ না হয় ততদিন পূর্বের সিষ্টেমেই বেতন প্রদান করতে পারতেন তো। তারপর যাচাই বাছাই শেষ হলে বাস্তবায়নের দিকে যেতে পারতেন। তাহলে তো আর এই সমস্যার দেখা দিত না।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।
ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন অফিস থেকে শিক্ষকদের ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ভোটার আইডিতে থাকা তথ্য ইএমআইএস সেলে থাকা শিক্ষকদের ডাটার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেক শিক্ষকের বড় ধরনের ভুল রয়েছে। আবার অনেকের ছোট ছোট কিছু ভুল আছে।
তারা জানান, ছোট ছোট ভুল থাকলেও ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার অনানুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বড় ভুল থাকলে তারা ইএফটিতে বেতনের মেসেজ পাবেন না। ছোট ভুল থাকা তথ্যগুলো যাচাইয়ের কাজ চলছে।
ছোট ভুল কোন গুলো বড় ভুল কোনগুলো তা এখন পর্যন্ত পরিস্কার করেছেন। করেনি তো, 1 তারিখ হতে আজ 14 তারিখে শেষ হয়ে গেল আজ, কাল, পরশু করতে করতে মাসের অর্ধেক পার হয়ে যাওয়ার পরও আপনাদের তথ্যের যাচাই বাছাই শেষ করা হয় না। এটা কি মেনে নেওয়ার মতো কথা, আমাদের তো আপনাদের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। একেক সময় একেক কথা বলবেন সেটা তো হতে পারে না। একবার বলেবেন যে 1 লক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর ডাটা ভেরিফিকেশন শেষ যে কোন সময় তাদের বেতন একাউন্টে চলে যাবে আবার বলবেন যে এখনও হয়নি তাহলে সমস্যা কি টেকনিক্যাল না আপনাদের গাফিলতি সেটা নিয়ে প্রশ্ন করাই যায়।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ইএমআইএস সেলের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা চেষ্টা করছি আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে। এটি শেষ হওয়ার পর কত শিক্ষক দ্বিতীয় ধাপে ইএফটিতে বেতন পাবেন এবং এজন্য কত টাকা প্রয়োজন, সেই তথ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।’ ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বুধবারের মধ্যে সরকারের কাছে তথ্য পাঠানো গেলে আশা করছি আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালের মধ্যে শিক্ষকরা ইএফটিতে বেতন পাওয়ার মেসেজ পাবেন। তবে তালিকা এবং কত টাকা দরকার সে তথ্য বুধবারের মধ্যে পাঠানো না গেলে শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী সপ্তাহে বেতনের মেসেজ পাবেন। তাহলে এতদিন যে কথা গুলো বললেন সেগুলো কি কথার কথা। এভাবে আমাদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে নাড়াচাড়া করার দায়িত্বতো আমরা আপনাদেরকে দিয়েছি কি? দেইনি তো। আপনাদের এখনকার তথ্য মতে এ সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহে কতজন শিক্ষক কর্মচারীর বেতন হবে তা যেমন বলা মুশকিল। তেমনি এ সপ্তাহ তো নয় আগামী সপ্তাহে বেতন পাওয়া যাবে কিনা তা সন্দেহ আছে।
Leave a Reply