1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

সংস্কারপন্থী কারা?

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২০ Time View
র

“সংস্কারপন্থী” বলতে সেই ব্যক্তিবর্গ বা গোষ্ঠীকে বোঝায় যারা বিদ্যমান সমাজ, প্রশাসন, ধর্ম, রাজনীতি বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো সংশোধন করার মাধ্যমে একটি উন্নত ও ন্যায়সঙ্গত কাঠামো গড়ে তোলার পক্ষে কাজ করেন। তারা সাধারণত ঐতিহ্য বা প্রতিষ্ঠিত নিয়ম-কানুনকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে চান না, বরং পরিবর্তনের মাধ্যমে সেগুলোকে আরও কার্যকর ও উপযোগী করতে চান।


সংস্কারপন্থীদের বৈশিষ্ট্য

  1. সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি:
    সংস্কারপন্থীরা বিদ্যমান ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করতে সক্ষম এবং এর সমাধানের জন্য প্রস্তাবনা দেন।
  2. উন্নয়নমুখী মনোভাব:
    তারা সামাজিক বা প্রশাসনিক কাঠামোর উন্নতি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেন।
  3. ধারাবাহিক পরিবর্তনের পক্ষে:
    হঠাৎ বিপ্লব বা পুরোপুরি ধ্বংস নয়, বরং তারা পরিবর্তনকে ধীরে ধীরে ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বাস্তবায়ন করতে চান।
  4. আলোচনা ও সংলাপ:
    সংস্কারপন্থীরা সাধারণত আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তনের পক্ষে থাকেন এবং সহিংসতার বিরোধিতা করেন।
  5. নতুন চিন্তা ও উদ্ভাবন:
    তারা বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে নতুন চিন্তাধারা ও পদ্ধতি প্রণয়নের চেষ্টা করেন।

সংস্কারপন্থীদের ভূমিকা

  1. সমাজে বিদ্যমান অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।
    উদাহরণ: দাসপ্রথা, নারীদের প্রতি বৈষম্য, ধর্মীয় কুসংস্কার ইত্যাদি।
  2. নতুন নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন:
    বিদ্যমান ত্রুটিগুলো সংশোধনের জন্য প্রগতিশীল নীতিমালা প্রণয়ন।
  3. নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা:
    জনগণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা পালন।
  4. সামাজিক আন্দোলন:
    সংস্কারপন্থীরা প্রায়শই সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের সচেতনতা বাড়ান।

সংস্কারপন্থীদের উদাহরণ

ঐতিহাসিক সংস্কারপন্থী:

  1. রাজারাম মোহন রায় (ভারত):
    সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে সংস্কার আন্দোলন করেন।
  2. মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র (যুক্তরাষ্ট্র):
    বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং নাগরিক অধিকারের পক্ষে কাজ করেন।
  3. ফরাসি বিপ্লবের পূর্ববর্তী চিন্তাবিদরা (ইউরোপ):
    তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য কাজ করেছেন।

আধুনিক সংস্কারপন্থী:

  1. মালালা ইউসুফজাই (পাকিস্তান):
    নারীদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে কাজ করছেন।
  2. মহাথির মোহাম্মদ (মালয়েশিয়া):
    প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারে ভূমিকা পালন করেছেন।

সংস্কারপন্থীদের কার্যক্ষেত্র

  1. রাজনীতি:
    রাজনীতিতে দুর্নীতি কমানো, স্বচ্ছতা আনা, এবং জনকল্যাণমুখী নীতি প্রতিষ্ঠা করা।
  2. অর্থনীতি:
    অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা।
  3. ধর্ম:
    ধর্মীয় কুসংস্কার এবং বিভেদের বিরুদ্ধে কাজ করে সহনশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।
  4. সমাজ:
    নারীর অধিকার, শিশু অধিকার, এবং জাতি, বর্ণ ও ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।
  5. শিক্ষা:
    শিক্ষার সুযোগ প্রসারিত করা এবং শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান উন্নয়ন।

সংস্কারপন্থী হওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সংস্কারপন্থীরা পরিবর্তনের অগ্রদূত। তারা সমাজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর সমাধানে নেতৃত্ব দেন।

  • তাদের প্রচেষ্টার ফলেই সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশ্বের উন্নয়ন সম্ভব হয়।
  • তারা স্থায়ী পরিবর্তন আনতে কাজ করেন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সমালোচনা

  1. সংস্কারের ধীরগতি:
    তাদের প্রক্রিয়া অনেক সময় ধীর এবং দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় তাত্ক্ষণিক ফল পেতে ব্যর্থ হয়।
  2. প্রতিবন্ধকতা:
    অনেক সময় ঐতিহ্যবাদী বা রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতার সম্মুখীন হন।
  3. রাজনৈতিক চাপ:
    রাজনৈতিক ব্যবস্থায় প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর কারণে তাদের প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে।

উপসংহার

সংস্কারপন্থীরা একটি সমাজের উন্নতির চালিকাশক্তি। তাদের উদ্যোগেই বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান এবং সুষম উন্নয়ন সম্ভব হয়। তাই সমাজ ও রাষ্ট্রের উচিত তাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme