সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রণোদনার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী এই সুবিধার আওতায় আসবেন কি না—তা এখনও নিশ্চিত নয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা দেয়নি, ফলে শিক্ষক মহলে উদ্বেগ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা বিভিন্ন ভাবে জানার চেষ্টা করছেন কোন দিন কখন MPO ভক্তদের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তারা বিভিন্ন জাযগায় ফোন করে খোঁজ নিচ্ছেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ে শিক্ষক সংগঠনের নেতাকর্মীদের যোগাযোগের অনুরোধ জানাচ্ছেন।
এর আগে ২০১৫ সালের পে-স্কেল ঘোষণার সময় যেভাবে দৈনিক শিক্ষাডটকম সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল, এবারও তারা তৎপর হয়ে সরকারের উপরমহলে যোগাযোগ করেছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেউ এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাইয়ের মতোই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলা যায়, এমপিওভুক্তরাও প্রণোদনার আওতায় আসবেন। এখন কেবল সিদ্ধান্ত ও প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষা।”
২০২৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণার পর থেকেই এমপিওভুক্তদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও মূল বেতনের ৫% হারে প্রণোদনা পেয়ে আসছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সে সময় একটি নির্দেশনাও জারি করে, যেখানে বলা হয়—এই বিশেষ সুবিধা বছরে ১ জুলাই প্রযোজ্য হবে এবং ন্যূনতম ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে। চিঠিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছিল।
যদিও তারা বেসরকারি, তবু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে মূল বেতন, ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পান। এ ছাড়া ২০২৫ সালের ঈদুল আজহা থেকে তারা ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতাও পাচ্ছেন।
Leave a Reply