শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড, আর এই মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করতে হলে প্রয়োজন সময়োপযোগী ও পর্যাপ্ত বিনিয়োগ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা শিক্ষা খাতের উন্নয়ন ও প্রসারে সরকারের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট তিনটি মূল স্তরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে:
প্রাথমিক শিক্ষাই হলো শিশুদের শেখার প্রথম ধাপ। এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো মানে হচ্ছে আরও বেশি শিশু বিদ্যালয়ে আসবে, শিক্ষার মান উন্নত হবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত উন্নত হবে। বিদ্যালয়ভিত্তিক অবকাঠামো, মিড-ডে মিল, ও প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষার প্রসারে এই অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা এ স্তরের শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ডিজিটাল শিক্ষা, গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিকীকরণ এবং উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকারের সুযোগ বাড়াতে এই অর্থ কার্যকরী হতে পারে।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাকে মূলধারায় আনার জন্য এই বরাদ্দ গুরুত্বপূর্ণ। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন ও পাঠক্রমে বৈচিত্র্য আনতে এই বরাদ্দ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
শিক্ষা খাতে এই বরাদ্দকে শুধু খরচ নয়, বরং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়নও অপরিহার্য।
শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ুক দেশের প্রতিটি কোণায়, আর এই বরাদ্দ হোক সেই আলোর পথচলার শক্ত ভিত।
Leave a Reply