কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত: উদ্যোগে নেতৃত্বে আজিজি সাহেব
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধীনস্থ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও সাধারণ স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের মত দীর্ঘদিন থেকে শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি করে আসছিল। তারাও স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে একযোগে আন্দোলন করে এসেছে। এ প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ২৫% বৃদ্ধি করা হবে। সেই মতে এতদিন সকলেই জানত যে, সাধারণ স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায় মাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষকদেরও উৎসব ভাতা বৃদ্ধি হবে। কিন্তু হঠাৎ করেই জানা যায় যে, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির কোন প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ও পীড়াদায়ক কেননা সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা একযোগে আন্দোলন করেছিল দাবী আদায়ে সেখানে যদি একাংশের দাবী পূরণ হয় আর অন্য অংশের দাবী অগ্রাহ্য থেকে যায় এর চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর কি হতে পারে।
বিষয়টি জানার পর জাতীয়করণ প্রত্যাশি জোটের পক্ষ হতে জোটের আহ্ববায়ক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজি স্যার অত্যান্ত সফল কুটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তা নিরসনের উদ্যেগ গ্রহণ করেন। এবং তার এই উদ্যোগের ফলে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্তভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেলেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্ধিত হারে উৎসব ভাতা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
এ প্রক্রিয়াটি সফলভাবে এগিয়ে নিতে এবং নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজি। তিনি বিষয়টি বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে তুলে ধরেন এবং উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেন। তার দৃঢ় নেতৃত্ব, প্রাজ্ঞ দিকনির্দেশনা ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা এই প্রস্তাবটি অবশেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
মাওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজি এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, “এটি কেবল একটি প্রস্তাব প্রেরণের বিষয় নয়; এটি শিক্ষক সমাজের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা আশা করছি, অর্থ মন্ত্রণালয় দ্রুত সম্মতি প্রদান করবে এবং শিক্ষক-কর্মচারীরা এবারের ঈদেই বর্ধিত ভাতা পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট সবসময় মাঠে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতায় একটি বৈষম্য বিরাজ করছে। এমতাবস্থায়, কারিগরি ও মাদ্রাসা স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে উৎসব ভাতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শিক্ষক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট মহলে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এটি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।
Leave a Reply