প্রিয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ আজ অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে, মনের গহীনে অনেক কষ্ট নিয়ে এই ব্লগ লিখছি। বলবেন কি কষ্ট? কষ্ট হলো এই যে, আমাদের মাউশির ইএমআইএসসেলের একজন অতীব গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা সিনিয়র সিষ্টেম অ্যানালিষ্ট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তার এই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের খবরে আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী সমাজ অথবা আমি গভীর ভাবে মর্মাহত অথবা শোকাহত।
এই শোক কাটিয়ে উঠার জন্য আমি এক কঠোর কর্মসুচী হাতে নিয়েছি এবং আপনাদেরও সেই কর্মসুচী পালনের জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করিতেছি। সেই কর্মসুচীর অংশ হিসাবে আজ হতে আমরা সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ কালোব্যাজ অন্তরে ধারণ করিব, যদি পারি কালো কাপড় পড়িধান করিয়া উনার সুস্থতা কামনা করিব। যেন মহান সৃষ্টিকর্তা উনার কলপের ভিতরের সকল কালো দিকগুলো দুর করিয়া দেয়। আজ হতে সকল শিক্ষক কর্মচারী দয়া করিয়া অন্য কোন কালির কলম ব্যবহার করিবেন না সকলেই কালো কালির কলম ব্যবহার করিবেন। সকলেই সকল সময় তাহার জন্য ঘর অন্ধকার করিয়া, অন্তরের সকল কালিমা লেপন করিয়া দোয়া করিবেন। যতদিন উনাকে মহান সৃষ্টিকর্তা সুস্থতা দান না করেন ততদিন আপনারা তার জন্য কালো কাপড় পড়িয়া সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করিবেন।
উপরের কথা গুলো কেন বললাম জানেন নিশ্চয়ই, গতকাল বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে একটি খবর এসেছে সেই খবরটি আশা করি আমার মতো আপনারা অনেকে পড়েছেন তা হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিলের বেতনের বিলম্বের কারণ। আপনার জ্ঞাতার্থে নিচে আবার তা উল্লেখ করিলাম।
বেসরকারি স্কুল ও কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের বেতনের প্রস্তাব এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সম্ভব হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সংশ্লিষ্ট একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে পড়ায় পুরো প্রক্রিয়াটি কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং খুব শিগগিরই বেতনের প্রস্তাব পাঠানো হবে।
সোমবার (১১ মে) দুপুরে দেওয়া এক বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, “বেতনের প্রস্তাব তৈরির কাজ যিনি মূলত দেখাশোনা করেন, তিনি বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তার অনুপস্থিতির কারণে বেতনের প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে আমাদের টিম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, দ্রুতই প্রস্তাব পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে। আশা করছি শিক্ষক ও কর্মচারীরা খুব শিগগিরই এপ্রিল মাসের বেতন পেয়ে যাবেন।
অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তাও জানিয়েছেন, বিলম্ব অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও বিষয়টি অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল ব্যক্তির সুস্থতা ও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এখন আপনারাই বলেন একটা প্রতিষ্ঠান কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে এধরনের কান্ডজ্ঞানহীন মুলক কারণ উল্লেখ করে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলতে পারে। যে কোন প্রতিষ্ঠানের যে কেউ যে কোন সময় যে কোন কারণে অসুস্থ হতে পারে বা তার চেয়ে বড় কিছুও ঘটতে পারে তার জন্য কি সেই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপূর্ণ কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যাবে বা এটা কি হওয়া উচিত। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সিরিয়ার ধরনের সমস্যা রয়েছে।
একটা পেশাজীবি সমাজকে আর্থিকভাবে হেয় করার জন্য যদি এই ধরনের কারণ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা যায় তাহলে কি বা বলার রয়েছে। কখনও টেকনিক্যাল সমস্যা, কখনও অসুস্থ, কখনও কাজের চাপ, কখনও বা অপ্রতুল জনবল নানা ধরনের অজুহাত এভাবে যদি দিনের পর চলতে থাকে তাহলে কতদিন চালাতে পারবেন সেটা নিয়ে কিন্তু বড় প্রশ্ন থেকে যায়। আসলে আপনাদের উদ্দেশ্য কি? তা কিন্তু আমরা যে কিছুই বুঝি না তা কিন্তু নয়, সকল কিছুই বুঝি কিন্তু কিছু বলতে পারিনা কারণ কি জানেন? আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ নই। আমরা যদি এক্যবদ্ধ হতাম তাহলে আপনাদের এই সকল সমস্যা কিন্তু চোখের পলকে দুর হয়ে যেত। মনে রাখবেন আপনাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী যারা ছিল আপনাদের গুরু তারা এভাবে এদেশের আপামর জনগণকে নানা কারণে হয়রানি, অপমান, অপদস্থ করেছি পরিণতি কি বর্ণনা করতে হবে। তাই বলছি শুধরানোর চেষ্টা করুন। আজ আমরা একতাবদ্ধ নাই, কিন্তু আগামীকাল একতাবদ্ধ হতে যে, পারবনা তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে। তাই বলি এধরনের কালোব্যাজ ধারণ করার কর্মসুচী থেকে বের হয়ে আসুন। নইলে কিন্তু……………
Leave a Reply