বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির আওতায় আনার উদ্যোগ নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক পর্যায়ে এনটিআরসিএভুক্তদের নিয়ে শুরু
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী সব শিক্ষকদের পর্যায়ক্রমে বদলির আওতায় আনতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। তবে আইনি জটিলতার সম্ভাবনা থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে একসাথে বদলির আওতায় আনছে না মন্ত্রণালয়। পরিবর্তে, প্রথম ধাপে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের জন্য বদলি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-২) মো. মিজানুর রহমান “দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস” কে বলেন, “এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের বদলি কার্যক্রম ২০২৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে, যা জুন মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সব ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলির আওতায় আনা যায় কি না, সে বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলোচনা হবে।”
আইনি জটিলতা এড়াতে ধাপে ধাপে উদ্যোগ
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনটিআরসিএর বাইরে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অধিকাংশ নিজ জেলা বা নিকটবর্তী জেলায় কর্মরত। তাঁরা বিজ্ঞপ্তি দেখে নিজেরাই পছন্দের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন। এই শিক্ষকগণ দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকায় চাকরি করছেন, ফলে তাদের বদলির সিদ্ধান্তে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এজন্য আপাতত এনটিআরসিএর বাইরে নিয়োগপ্রাপ্তদের বদলির বাইরে রাখা হচ্ছে।
একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা একটি কেন্দ্রীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার পদ্ধতিতে নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে নিজেদের জেলার বাইরে দূরবর্তী এলাকায়—যেমন কেউ বরিশালের বাসিন্দা হলেও চাকরি পেয়েছেন বগুড়ায়। তুলনামূলকভাবে কম বেতন ও দূরবর্তী কর্মস্থলের কারণে বদলি তাঁদের জন্য অনেকটাই জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই এই শ্রেণির শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে চালু করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “প্রথমে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের বদলি শুরু করা হবে। এরপর ধাপে ধাপে সব ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এই পুরো প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো প্রকার আইনি বা প্রশাসনিক জটিলতা না তৈরি হয়, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। যদি সবদিক বিবেচনায় এটি বাস্তবায়নযোগ্য হয়, তবে বাকি শিক্ষকদেরও বদলির সুযোগ দেওয়া হবে।”
Leave a Reply