1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০১:১০ অপরাহ্ন
Title :
MPO নীতিমালা পর্যালোচনা সমন্ধে যা জানাল মাউশি বৈষম্যমুলক বদলী নীতিমালার ভিতরেও বৈষম্য ভরা জুলাই ঘোষণা এনসিপি নিজেই দিবে কারণ ব্যর্থ সরকার নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি

উৎসব ভাতা নিয়ে আরও কত নাটক হবে বলতে পারেন?

  • Update Time : রবিবার, ১১ মে, ২০২৫
  • ৪৮৯ Time View
উৎসব ভাতা নিয়ে আরও কত নাটক হবে বলতে পারেন?

এদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিলুপ্ত করে দেওয়াটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত। কারণ এদেশে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত আছে তাদের নূর্ন্যতম অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব এদেশের সরকারের নাই। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে যারা চাকুরীরত তাদের কোন চাওয়া পাওয়া পূরণ করার জন্য সরকারের নেই কোন চিন্তা। কখনও কোন সময় সরকার একটু চিন্তাভাবনা করলেও এদেশের আমলার কি করে সেই চিন্তায় পানি ঢেলে দিবে সেই কুটকৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত।

বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা সিকিভাগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যদিও তারা দুই দশক ধরে মূল বেতনের শতভাগ উৎসব ভাতা দাবি করে আসছিলেন। তারপরও বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসের কথায় ও বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কথা চিন্তা করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা আপাতত দেওয়া আশ্বাসে বিশ্বাস করে আন্দোলনের মাঠ থেকে সরে আসে। সেই মোতাবেক সিকিভাগ বাড়িয়ে শিক্ষকদের ৫০ শতাংশ এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

এই প্রস্তাব ঈদুল আজহার আগে অনুমোদন হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এবারের ঈদেই বর্ধিত হারে উৎসব ভাতা পাবেন। এতদিন শিক্ষকরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে আসছিলেন, যা কার্যকর করা হয়েছিল ২০০৪ সাল থেকে। এদেশে এতদিন নানা সমস্যার সমাধান হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সমস্যাগুলো ছিল অপরবর্তনীয় এক সমস্যা যা কিনা পরিবর্তন হয়নি। আর এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি যারা কলকাঠি নেড়েছে তারা হলো এদেশের অসাধু ও দুর্নীতিবাজ আমলারা। যারা কিনা বর্তামনেও ব্যস্ত কিভাবে পরিবর্তনের এ উদ্যোগ ভেস্তে দেওয়া যায় সেই পরিকল্পনা নিয়ে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, “যথাযথ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাওয়া প্রস্তাব আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।” কিন্তু কাজ করতে কত সময় প্রয়োজন হয় বলতে পারেন? এভাবে সময়ক্ষেপনের অর্থ কি?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ ফারুক-উজ-জামান বলেন, “মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।” তবে প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, দিলে কবে নাগাদ হতে পারে সে বিষয়ে এই কর্মকর্তা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

এমপিওভুক্ত সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি স্কুল ও ২ হাজার ৮ শ’র বেশি কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এজন্য বছরে ৪৮০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে সরকারের।

তবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি।

এধরনের কোন ষড়যন্ত্রের কথা কিন্তু এতদিন শোনা যায়নি নতুন করে নতুন ষড়যন্ত্র মুলক, বিভ্রান্ত্রিমুলক কথা আজ আবার শোনা গেল। এতদিন শোনা যাচ্ছিল যে, কর্মচারীদের বৃদ্ধি করা হবে না এখন আবার শোনা যাচ্ছে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি। মাঝে মাঝে নতুন নতুন বিভ্রান্তিমুলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যার মুল উদ্দেশ্য হলো কিভাবে এ পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়া যায়। কিভাবে সরকারের এ ভাল উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। আসলে এসকল আমলারা তো বিগত ১৬ বছর ধরে করেছে ফ্যাসিষ্ট সরকারের চামচামি আর এখন চাইছে কিভাবে বর্তমান সরকারকে হেয় করা যায়। যাতে করে তাদের পূর্ব মনিবেরা খুশি হয়।

শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়া এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ মার্চ শেষ কর্মদিবসে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দেন তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। উপদেষ্টার এ বার্তা পাওয়ার পরদিন ৬ মার্চ ২২ দিন থেকে চলা আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষকরা।

প্রতি ঈদে খরচ ২৪০ কোটি টাকা

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে।

অধিদপ্তরের অর্থ ও ক্রয় শাখার সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “চলতি অর্থবছরের বাজেটে যে টাকা উদ্বৃত্ত ছিল সেখান থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

“প্রস্তাব অনুযায়ী শিক্ষকদের উৎসব ভাতা হবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ আর কর্মচারীদের উৎসব ভাতা হবে মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ। এজন্য একটি ঈদে ২৪০ কোটি টাকা খরচ হবে।”

খুব শিগগিরই অর্থবিভাগ এ প্রস্তাব অনুমোদন করবে বলে আশা প্রকাশ করে এই কর্মকর্তা বলেন, “আগামী বছরের বাজেটেও এ খাতে মোট ৪৮০ কোটি টাকার সংকুলান রাখা হয়েছে।”

পরিশেষে আমলাদের উদ্দেশ্যে যে কথা বলব তা হল এই যে, দয়া করে উৎসব ভাতা নিয়ে নাটক বন্ধ করুন যে ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে দ্রুত সেই মোতাবেক প্রজ্ঞাপন জারি করুন এবং দ্রুততর সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন। অনেক নাটক করেছেন এবার নাটক বন্ধ করে বাস্তবে ফিরে আসুন। আপনাদের পূর্ব মনিবেরা কিন্তু পালানোর সুযোগ পেয়েছে আপনারা কিন্তু পালানোরও সুযোগ পাবেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme