শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও শতভাগ উৎসবভাতার দাবিতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম, না মানলে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি শিক্ষকদের
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও শতভাগ উৎসবভাতার নিশ্চয়তা চেয়ে সরকারকে এক সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকার পদক্ষেপ না নিলে আগামী ১৭ মে থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ ও সচিবালয়ের অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মহাসমাবেশ থেকে এসব ঘোষণা দেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ। সমাবেশে দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষক নেতারা অংশ নেন এবং তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান নানা বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন।
অধ্যক্ষ কাওছার আহমেদ বলেন, “আমরা উৎসবভাতার অংশবিশেষ নয়, শতভাগ উৎসবভাতা চাই। আগামী ঈদুল আযহার আগেই ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা বাড়িয়ে শতভাগ ভাতা ঘোষণার প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি চাকরিজীবীদের মতো বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতার পূর্ণ সুবিধা দিতে হবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরও।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান—অগ্রাধিকারে মাধ্যমিক শিক্ষার জাতীয়করণ করুন। শিক্ষা খাতে বৈষম্য দূর করে শিক্ষকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। যদি ১৭ মে’র মধ্যে সরকার থেকে ইতিবাচক সাড়া না আসে, তবে শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান নেবেন।”
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, “যারা মানুষ গড়ার কারিগর, সেই শিক্ষকদের প্রতি এমন অবমাননাকর আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। এখন যখন সরকার নানা সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, তখনও শিক্ষা খাতে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। শিক্ষা খাতকে বাদ দিয়ে উন্নয়নের কথা বলার কোনো অর্থ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ বরাদ্দ শিক্ষা খাতে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের জীবনমান কিভাবে উন্নত হবে? আর তাদের জীবনমান না বাড়লে শিক্ষার মানই বা কিভাবে বাড়বে?”
উল্লেখ্য, জাতীয়করণ, উৎসবভাতা, চিকিৎসাভাতা ও বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ২২ দিনের আন্দোলন শেষে সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন। তবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সরকার তাদের দাবিগুলো না মানলে, আগামী ১৭ মে থেকে তারা রাজপথে কঠোর কর্মসূচিতে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
সর্বশেষে আমি যা বলব তার হল এমন আলটিমেটাম বিক্ষিপ্তভাবে না দিয়ে সকল সংগঠন এক হয়ে একসাথে দেওয়া যেত তাহলে MPO শিক্ষকদের দাবী আদায়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হত না। বিভ্রান্তিকর পোষ্ট দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
Leave a Reply