বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি মে মাসেই এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি হতে পারে বলে জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. হেলালুজ্জামান সরকার জানিয়েছেন, “৩০ শতাংশ নারী কোটা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের রেজ্যুলেশন চূড়ান্ত হলেই পরিপত্র জারি করা হবে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, গত রোববার এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। রেজ্যুলেশন অনুযায়ী পরিপত্র এ মাসেই প্রকাশ হতে পারে, না হলে জুন মাসে জারি করা হবে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এনটিআরসিএ নারী কোটা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মতামত চায়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে একাধিক বৈঠকে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। এসব বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোটা-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত কার্যকরের পক্ষে মতামত দেওয়া হয়।
১৯৯৯ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ নারী কোটা চালু করা হয়। ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে তৎকালীন বিএনপি সরকার এটিকে বাধ্যতামূলক করে। তবে বাস্তবায়নে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়, বিশেষ করে অনগ্রসর এলাকায় নারী প্রার্থীর সংকট তীব্র হয়ে ওঠে। ২০১০ সালে কিছু জেলায় এই কোটা শিথিল করে আওয়ামী লীগ সরকার।
২০২৪ সালের ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে সরকারি চাকরির ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে কোটা পুনর্বিন্যাস করে বলা হয়:
যথাযথ প্রার্থী না পাওয়া গেলে কোটার পদ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করার কথা বলা হয়। পূর্বের সব কোটাসংক্রান্ত নির্দেশনা রহিত করা হয়েছে এবং নতুন আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের আলোকে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগেও নারী কোটা বাতিলের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply