এদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের যেকোন বিষয় নিয়ে এত বেশি আলোচিত হয় তা অন্য কোন পেশার ক্ষেত্রে হয় কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক করাই যেতে পারে। এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের কোন সুবিধা যদি ১০০ টাকা স্থলে ১০০ টাকা বাড়ানো হয় তাহলে মিডিয়ায় প্রচার করা হয় সুবিধা ডাবল করা হয়েছে। এই হলো এদেশের নীতি নির্ধারকদের মানসিকতা। এদের কাজ হলো কি করে এমপিওভুক্ত পেশায় যারা কর্মরত আছে তাদের ছোট ও হেয় করা যাবে প্রতিনিয়ত সেই পন্থা তারা খুজে বেড়ায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষকরা মূল বেতনের ২৫% এবং কর্মচারীরা ৫০% হারে উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। এখন বিভিন্ন গণ মাধ্যম সুত্রে ও সরকারের নির্ভরযোগ মাধ্যম সুত্রে যে বিষয়টি জান গিয়েছে তা হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়িয়ে কর্মচারীদের সমান ৫০% করা হবে আর আপাতত কর্মচারীদের উৎসব বাড়ানোর সম্ভাবনা তেমন একটা নাই।
এই বৈষম্য দূর করে শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা সমান ৫০% করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ঈদুল আজহার পূর্বেই এই সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপন জারি হবে এবং সংশ্লিষ্টরা বাড়তি ভাতা পাবেন।
মাউশির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রজ্ঞাপন জারির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং এটি দ্রুত সম্পন্ন হবে। তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি মাউশি জানিয়েছেন তা হলো যে, প্রজ্ঞাপন জারি করার কাজ বা এখতিয়ার মাউশির নয়। শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য কাজ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং তাতে নীতিগত সমর্থন প্রদান করবে অর্থমন্ত্রণালয় অতএব প্রজ্ঞাপন কোনদিন জারি করা হবে কখন জারি করা হবে সেক্ষেত্রে মাউশির প্রভাব খাটানোর কোন বিষয় নাই।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা প্রতি ঈদে মূল বেতনের ২৫% হারে উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন, যা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সমাজের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে, শিক্ষকরা কর্মচারীদের সমান হারে উৎসব ভাতা পাবেন, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Mohammed Abul Hossaiin