আইবাস ডাবল প্লাস (iBAS++) সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (EFT) এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন প্রদানের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ডিসেম্বর মাসের সপ্তম ধাপ, জানুয়ারির চতুর্থ ধাপ, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় ধাপ ও মার্চের দ্বিতীয় ধাপের বেতন প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টেকনিক্যাল জটিলতার কারণে এই কার্যক্রম বিলম্বিত হয়েছে, যদিও এটি আরও আগেই সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান,
“ডিসেম্বরসহ চার ধাপের বেতন প্রস্তাব চূড়ান্তের পরেই এপ্রিল মাসের বেতন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের শুরুতেই প্রস্তাব পাঠানো সম্ভব হবে।”
এর আগে ২৭ মার্চ মন্ত্রণালয় ডিসেম্বরের ষষ্ঠ ধাপের বেতন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়, যাতে ১০,১১৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন — এর মধ্যে স্কুলের ৭,৮১৯ জন এবং কলেজের ২,২৯৪ জন।
সূত্র বলছে, ডিসেম্বরের সপ্তম ধাপে এমন কিছু শিক্ষক-কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, যারা তথ্য সংশোধন বা প্রোফাইল হালনাগাদ করেছেন। একই সঙ্গে ষষ্ঠ ধাপ থেকে বাদ পড়া কিছু শিক্ষকও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এই ধাপে।
ইতিপূর্বে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে অ্যানালগ পদ্ধতিতে বেতন পেতেন, যা দেরি ও ভোগান্তির কারণ হতো। অনেক সময় মাস শেষে বেতন মিলত না।
এই সমস্যা সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটির মাধ্যমে এমপিও বেতন প্রদানের ঘোষণা দেয়।
প্রথম ধাপে পরীক্ষামূলকভাবে ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ইএফটি-তে ছাড় করা হয়। এরপর জানুয়ারি থেকে এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে বেতন পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত হন।
চার ধাপের বেতন ছাড়ের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এপ্রিল মাসের বেতন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপরই ঈদের বোনাস ও উৎসব ভাতা নিয়ে কাজ শুরু হবে, যদিও এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ কর্মকর্তারা।
Leave a Reply