1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
Title :
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন জটিলতা: ইএফটি অজুহাত আর অব্যবস্থাপনার করুণ চিত্র ইএফটি বাস্তবায়ন: প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও এমপিও শিক্ষকদের পার্থক্যপূর্ণ বেতন প্রদান প্রক্রিয়া। সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেও থেমে নেই পাকিস্তানের সামরিক মহড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা আমলাদের ভাসুর, সরকারের শ্বশুর। এপ্রিলের বেতন এর বর্তমান অবস্থা- যা জানাল মাউশি ৭ম ধাপের বেতন কোনদিন যা জানাল মাউশি? বদলির সুযোগ পাবেন যে সকল MPO শিক্ষক! এপ্রিলের বেতন প্রাপ্তিতেও মাউশির সেই পুরাতন অজুহাত। মধুপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ, জুতা পেটার ঘটনা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি: প্রত্যাশা, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ পথচলা

জাতীয়করণ দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকেরা।

  • Update Time : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩০০ Time View
জাতীয়করণ দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকেরা

জাতীয়করণের বাইরে রাখা সেই ৪ হাজার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখনো বঞ্চিত

ঢাকা, ২৯ এপ্রিল:
জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া সব চলমান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবিলম্বে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

২০১৩ সালের জাতীয়করণ, কিন্তু বাদ গেল ৪ হাজারের বেশি বিদ্যালয়

বক্তারা জানান, ২০১৩ সালে তৎকালীন সরকার সারাদেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিলেও গেজেট অনুযায়ী ৩০ হাজার ৩৫২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ২৬ হাজার ১৯৩টি জাতীয়করণ করা হয়। বাকি ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রশাসনিক গাফিলতি এবং নানা কারিগরি কারণে জাতীয়করণের বাইরে থেকে যায়।

একই যোগ্যতা, ভিন্ন ভাগ্য

শিক্ষক নেতারা বলেন, বাদ পড়া বিদ্যালয়গুলো ২০১২ সালের মে মাসের আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন কিছু কর্মকর্তার কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে এসব বিদ্যালয়ের অনেকগুলো যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগই পায়নি।

এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণসহ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদের জাতীয়করণ করা হয়নি। এমনকি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৩০০ বিদ্যালয়ের নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

দীর্ঘ বঞ্চনায় মানবেতর জীবন

সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, “দীর্ঘদিন পাঠদান পরিচালনা করেও আমরা ন্যায্য মর্যাদা পাইনি। আমাদের স্কুল জাতীয়করণ না হওয়ায় বেতন-ভাতা নেই, টিফিন নেই, শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছে না। অন্যের শিশুকে শিক্ষিত করছি, অথচ নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।”

‘ফ্যাসিস্ট সরকারের’ প্রতিহিংসার অভিযোগ

মহাসচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, “২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার ৪ হাজার ১৫৯টি প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বাদ দেয়।”

তিনি বলেন, “আমরা কোনো দয়া নয়, ন্যায্য অধিকার চাই। উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ চাই, যেন এই অন্যায় বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।”

আশাবাদী শিক্ষকরা সরকারের প্রতি আস্থাশীল

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী লিটন বলেন, “বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ আজ শিক্ষা ও উন্নয়নের মডেল। আমরা আশাবাদী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।”

অবশেষে, এ প্রশ্নটা থেকেই যায়:
যে শিক্ষক জীবনের সবটুকু নিংড়ে দেশের ভবিষ্যৎ গড়েন, তিনি কেন বছরের পর বছর ধরে নিজের ভাগ্য নিয়ে রাস্তায় বসে থাকবেন?

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme