বেসরকারি স্কুল ও কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো এপ্রিল মাসের বেতন পাননি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এখনো তাদের বেতনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে এ প্রস্তাব পাঠানো হতে পারে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) মাউশির এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান এক আলাপকালে জানান, নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সার্ভার খোলা রাখা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সার্ভার বন্ধ করা হবে এবং এরপর বেতনের চূড়ান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, “আমরা কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। যদি সবকিছু ঠিকমতো হয়, তাহলে মে মাসের প্রথমার্ধেই শিক্ষক-কর্মচারীরা এপ্রিল মাসের বেতন পেয়ে যাবেন।”
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতির মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে বেতন-ভাতা পান। কিন্তু বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে বেতন তুলতে বাধ্য হন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বেতন উত্তোলনে নানা ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছিল তাদের।
এ সমস্যার সমাধানে গত বছরের ৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইএফটি পদ্ধতির মাধ্যমে দেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায়, প্রথম ধাপে ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমে ছাড় করা হয়।
পরে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আরও বড় পরিসরে প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করা হয়। সে সময় প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে সরকারি অংশের বেতন-ভাতা পান। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে যথাক্রমে ৬৭ হাজার, ৮৪ হাজার এবং ৮ হাজার ২০০-এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমে গ্রহণ করেন।
গত ১৬ এপ্রিল থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতন এবং বৈশাখী ভাতা তুলতে শুরু করেছেন। এখন তাদের দৃষ্টি এপ্রিল মাসের বেতনের দিকে। তবে বেতন ছাড় প্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে কিছুটা উদ্বেগ বিরাজ করছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সার্ভার বন্ধ করে তথ্য চূড়ান্ত করার পর দ্রুত মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে এবং যথাসম্ভব দ্রুত বেতন ছাড়ের ব্যবস্থা করা হবে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুলে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের এপ্রিল মাসের বেতন হাতে পেতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাসঙ্গিক তথ্য:
পরিশেষে যে কথা বলব তা হল, মাউশির সত্যি সত্যি কোন ইচ্ছা আছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সময়মতো বেতন দেওয়ার। যদি থাকত তাহলে প্রতি মাসে কেন একই কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
Leave a Reply