শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ২০২৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত ও পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাদের মতে, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করেই টেকসই ও কার্যকর শিক্ষাক্রম তৈরি করা সম্ভব।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। তবে এটি শুরু থেকেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতনের পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে এবং পূর্বের ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষাক্রমে ফিরে যায়। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা পুরোনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই হাতে পেয়েছে এবং পড়াশোনা শুরু করেছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর কবির বলেন, “জরুরি পরিস্থিতিতে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরলেও সময়ের সাথে তাল মেলাতে নতুন শিক্ষাক্রম প্রয়োজন। এটি সময়োপযোগী ও যুগোপযোগী হতে হবে।”
এনসিটিবির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী বছরের পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, উন্নত ও বাস্তবায়নযোগ্য নতুন শিক্ষাক্রম তৈরির কাজও চলমান রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৭ সাল থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, “শিক্ষাক্রম পরিবর্তন কোনো এককালীন কাজ নয়; এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধি সকলকে যুক্ত করা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীদের উপযোগী একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা যায়।”
Leave a Reply