গত সম্ভবত ১৭ই এপ্রিল মাউশির ইএমআইএসসেল থেকে জানায় যে, আগামী এপ্রিলের বেতন দ্রুততর সময়ের মধ্যে যাতে করে দেওয়া যায় তার জন্য কাজ করবে মাউশির ইএমআইএস সেল। তারা যে বিবৃতি দেয় তা নিম্নের অনুরূপ।
এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা যাতে এপ্রিল মাসের শুরুতেই বেতন পেতে পারেন, সে লক্ষ্যে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল।
আরও পড়ুন…….“অবসর সুবিধা ও কল্যাণ তহবিল নয়,পেনশন ব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান”
বুধবার ইএমআইএসের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান জানান, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বেতন প্রদানের জন্য মার্চ মাসের মধ্যেই প্রস্তাব পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এতে সময়মতো বেতন ছাড় সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
তবে ইএমআইএস সূত্র জানায়, শিক্ষক-কর্মচারীদের মৃত্যু, অবসর ও বদলি সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছ থেকে হালনাগাদ তালিকা চেয়ে নেওয়া হয়েছে।
মাউশির এক কর্মকর্তা জানান, কিছু প্রশাসনিক জটিলতা চিহ্নিত হয়েছে, তবে তা দ্রুত সমাধানে কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মে মাসের ৮ তারিখের মধ্যেই এপ্রিল মাসের বেতন পাওয়া যাবে।
এখন যে প্রশ্ন এখানে দেখা দেয় উপরে মাউশির দেয়া তথ্যের আলোকে যে এপ্রিলের বেতন মাউশি যদি তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক প্রদান করতে চায় তাহলে কি এতদিন বেতন প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে দিত হত নিশ্চয়ই। কিন্তু আমি যতটুকু জানি বা আমার নিকট যতটুকু খবর আছে তাতে করে মাউশির ইএমআইএস সেল এখন পর্যন্ত বেতন প্রদানের কোন কার্যক্রম শুরুই করেনি। আগামী ২৫ ও ২৬ তারিখ সরকারী ছুটি তারপর অফিস খোলার পরেই নিশ্চয়ই শুরু করবে না। তাতে করে এ মাসের শেষ অথবা আগামী মাসের শুরুতে অর্থাৎ ২ তারিখের পূর্বে কোন মতেই এপ্রিলের বেতন প্রদানের কার্যক্রম শুরু করবে না। তাতে করে যে বিষয় দাঁড়াবে তা হলো আবারও বেতন শিক্ষক ও কর্মচারীর ব্যাংক একাউন্টে পৌছাতে পৌছাতে প্রায় কমবেশি ১৫ তারিখে হয়ে যাবে।
তাহলে এতকিছু হওয়ার পরও মাউশি নিজে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজ করছে কিভাবে। মাউশি অতীতেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দেওয়া কোন কথা তারা ঠিক মত পালন করেনি। বর্তমানেও করবেনা বলে পণ করেছে। এই হলো আমাদের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ভাগ্য।
Leave a Reply