চলতি বছরের জুন মাস থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে প্রদান করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা, সময়মতো বেতন প্রাপ্তি এবং দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে অধিদপ্তর।
পাইলট প্রকল্পের সফলতা
২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি কর্মশালার মাধ্যমে ইএফটি পদ্ধতির সূচনা হয়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে ১১টি প্রতিষ্ঠানের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এই পদক্ষেপ সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় এখন দেশব্যাপী কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এই ব্যবস্থার আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে।
বর্তমান প্রস্তুতি ও কার্যক্রম
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (এমপিও) খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, “আমরা পাইলটিংয়ে আশানুরূপ সফলতা পেয়েছি। এখন জুন মাস থেকে সকল শিক্ষকদের ইএফটির মাধ্যমে বেতন দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডাটা সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে”।
ইএফটি পদ্ধতির সুবিধাসমূহ
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এই ইএফটি পদ্ধতি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে, অন্যান্য শিক্ষা অধিদপ্তর যেমন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন প্রদানেও এই পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা খাতে আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসংগত উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস হতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ইএফটি বাস্তবায়ন শুরু হয়ে।
Leave a Reply