1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

উৎসব ভাতা নিয়ে উৎকন্ঠা এবং অন্যান্য ভাতা নিয়ে শঙ্কা!

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯৪৫ Time View
উৎসব ভাতা নিয়ে উৎকন্ঠা এবং অন্যান্য ভাতা নিয়ে শঙ্কা!

উৎসব ভাতা ও অন্যান্য ভাতা নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা বাস্তবভিত্তিক ও যুক্তিযুক্ত—এটি কেবল আর্থিক নিরাপত্তার বিষয় নয়, সম্মান ও মর্যাদার সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ এদেশের প্রেক্ষাপটে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো কোন কালেই এদেশের সরকার বা সরকার ব্যবস্থার সাথে ঔতোপ্রতোভাবে জড়িত তাদের সুদৃষ্টিতে ছিল না। এদেশের সরকার ও আমলারা চিরকালই এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের রাষ্ট্রের বোঝা মনে করে। তারা চান এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা সর্বদা প্লেটোর রাষ্ট্র দর্শন মেনে চলুক।

গত রমজান মাসের শুরুতে একটি শিক্ষক সংগঠনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা তার বিদায়ী প্রেস বিফিংয়ে বলেছিলেন যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সকল বৈষম্য দুরীকরণে সরকার একমত তবে বৈষম্য এর অবস্থা এত বেশি হয়ে গেছে যে, তা এক বছর বা দুবছরের বাজেট দিয়ে মেটানো সম্ভব নয়। তবে আমরা নীতিগতভাবে চাই সেই বৈষম্যগুলো নিরসন হোক। তাই এবছর থেকে আমরা হয়ত শুরু করে যাব যাতে করে দিনে দিনে এই ধারা অব্যাহত রেখে বৈষম্যগুলো নিরসন হয়।

আরও পড়ুন…..এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এ-ই ভোগান্তির শেষ কোনদিন?

কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় হল এই যে, গত ১৩ এপ্র্রিল যখন ঐসময়ের আন্দোলনরত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যখন শিক্ষা উপদেষ্টার নিকট তাদের বয়ানকৃত অর্থাৎ বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ও ঐ প্রেস বিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টার নিকট কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। তখন বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন কই আমি তো এই বিষয়ে কিছু জানি না। তিনি আরও বলেন তাহলে আমাকে ঐ সময়ের পেপার কাটিংগুলো সরবরাহ করেন। এই হলো আমাদের অভিভাবক। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হলো যে, বিদায়ী উপদেষ্টা যখন প্রেস বিফিং করেন তখন কিন্তু সেখানে বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন তারপরও তিনি যদি এখন বলেন যে, আমি তো আপনাদের এই সকল বিষয়ে কিছু জানি না। তাহলে বিষয়টি নিয়ে উৎকন্ঠা ও শঙ্কা দুটোই আছে আমার মনে।

অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে যে খবর পাওয়া গিয়েছে সেখান হতে বলা হয়েছে যে, হ্যাঁ আপানাদের উৎসব ভাতা বাড়বে তবে তা অবশ্যই ১০০% নয়। কিন্তু তাহলে প্রশ্ন হলো কত % কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলছে না। শুধু বলছে কিছু দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। তাহলে কি শঙ্কা মনে জাগা কি স্বাভাবিক নয়। তাহলে কি আমাদের নিয়ে আবারও নতুন কোন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কোন রকম একভাবে যে কোন প্রকারের উৎসব ভাতার বৃদ্ধি দিয়ে আপাতত রেহাই পেতে চাচ্ছে বর্তমান সরকার।

উৎসব ভাতা নিয়ে উৎকণ্ঠার মূল কারণগুলো:

নিয়মিত না পাওয়া বা দেরি হওয়া:

  • অনেক সময় নয় প্রায় সকল সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের উৎসব ভাতা সময়মতো পায় না, বা আসে এমন সময় পায় যখন উৎসব প্রায় শেষ।

বৈষম্যপূর্ণ বণ্টন:

  • সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের তুলনায় এমপিওভুক্তরা অনেক কম উৎসব ভাতা পান, যা স্পষ্ট বৈষম্যের পরিচয়। যেখানে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উৎসব ভাতা পায় ১০০% সেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ ২৫% আর কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ ৫০%। এভাবেই চলছে দীর্ঘ ২২ বছর।

প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা:

  • উৎসবের আগে উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন বিষয়ে সরকার বা মাউশির তরফ থেকে দ্রুত ও স্পষ্ট নির্দেশনা না আসাটা শিক্ষকদের মনে উৎকন্ঠা তৈরী করছে।

অন্যান্য ভাতা নিয়ে শঙ্কাঃ

বাসাভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও অন্যান্য ভাতা – এগুলো না পাওয়া:

  • অধিকাংশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক এই ভাতাগুলোর আওতায় আসেন না বা আসলেও তা অতি সামান্য বা হাস্যকর প্রাপ্তি অথচ জীবনযাত্রার ব্যয় দিন দিন বাড়ছে।সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এই ভাতাগুলো আগামী বাজেট থেকে বৃদ্ধির ঘোষণা দিলেও ইতিমধ্যে তাদের নানা কার্যক্রমে সেই প্রাপ্তি নিয়ে কিছুটা সংশয় বা শঙ্কার তৈরী হয়েছে। কারণ এই সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা যখন নিজে মুখে বলেন যে, কই আপনাদের এই বিষয়ে তো আমি কিছু জানি না। তখন কিন্তু শঙ্কা হওয়াটা অস্বাভাবিক কোন বিষয় নয়।
  • কিন্তু প্রশ্ন হল এভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের আর কতদিন এদেশের সরকার বা আমলারা মুখ চেপে ধরে রাখবে। আর কতদিনই বা আমরা এভাবে আমাদের সাথে সংঘটিত অন্যায়গুলো এভাবে নীরবে মেনে নিব। আর কত অন্যায় হলে আমাদের ঘুরে দাাঁড়ানোর সক্ষমতা গড়ে উঠবে কেউ বলতে পারেন। আর কত বৈষম্য আমাদের সাথে হলে আমরা ঐকবদ্ধ এক পেশাজীবি হিসাবে নিজেদেরকে সংঘবদ্ধ করতে পারর।

ভবিষ্যৎ পেনশন বা অবসরের নিশ্চয়তা নেই:

  • চাকরি শেষে কেমন সুরক্ষা বা সহায়তা পাবেন—এ নিয়েও অনেকের দুশ্চিন্তা। এক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের নিজেদের কর্তনের টাকায় গঠিত অবসর ও কল্যান ফান্ডের টাকা বিগত সরকারের সুবিধাভোগীর লূটপাট করে নিয়ে গেছে যার ফলে এখন অবসর প্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তাদের ন্যর্য সুবিধা পাওয়ার জন্য মাউশির দরজায় দরজায় ঘুরছে কিন্তু মিলছে না কোন প্রতিকার।
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসর ও কল্যাণ ফান্ডের জন্য এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে কর্তনের কথা ছিল ২+৪=৬% এবং সেই অনুপাতেই তাদের প্রাপ্যতা নির্ধারণ কর ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলাদের কু পরামর্শে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিকট থেকে অন্যায় ভাবে ১০% টাকা কেটে রাখা হচ্ছে যা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বন্ধ হয়নি অথবা বেশি কর্তনের জন্য সুবিধার পরিমাণ বাড়ানও হয়নি।
  • প্রযুক্তিগত জটিলতা, তথ্য যাচাইয়ে গড়িমসি, ভুল তথ্য—এসব কারণে বেতনসহ অন্যান্য ভাতা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। যা দিন দিন মারাত্নক আকার ধারণ করছে।

এই শঙ্কা ও উৎকণ্ঠার প্রভাব কী?

  • মানসিক চাপ ও হতাশা সৃষ্টি হয়।
  • শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • পরিবারে অসন্তোষ, সামাজিক মর্যাদা হ্রাস পায়।

পরিশেষে যে কথা বলব তা হল যে জেগে জেগে ঘুমায় তাকে কিন্তু ঘুম থেকে জাগানো যায় না। যেমন আমাদের চোখের সামনে অন্যায় দেখেও যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ না হই তাহলে কেউ কোন দিন আমাদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে না। আর আমরা যদি এক্যবদ্ধ হতে না পারি তাহলে কোনদিনই আমাদের বৈষম্যগুলো দুর হবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

2 responses to “উৎসব ভাতা নিয়ে উৎকন্ঠা এবং অন্যান্য ভাতা নিয়ে শঙ্কা!”

  1. Walieur Rahman Chowdhury says:

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মিছিল মিটিং করা আবশ্যক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন প্রয়োজন থাকে কী? শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কর্মকর্তাদের কেন বসে বসে বেতন দেয়া হবে। ৮০% উপরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোন আন্তরিকতা না থাকলে সে মন্ত্রণালয়ের কি দরকার?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme