1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
Title :
বৈষম্যমুলক বদলী নীতিমালার ভিতরেও বৈষম্য ভরা জুলাই ঘোষণা এনসিপি নিজেই দিবে কারণ ব্যর্থ সরকার নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এ-ই ভোগান্তির শেষ কোনদিন?

  • Update Time : সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৭৪ Time View
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এ-ই ভোগান্তির শেষ কোনদিন?

বাংলাদেশ তথা সমগ্র পৃথিবীতে একমাত্র পেশা এমপিওভুক্ত শিক্ষকতার পেশা যেখানে কত ধরনের কত রকমের বৈষম্য রয়েছে তা লিখতে বসা যায় এক রাত্রি শেষ হয়ে যাবে তবুও লেখা শেষ হবে না।

এই পেশার শুরু হয় বৈষম্য দিয়ে শেষও হয় বৈষম্য দিয়ে। আর এ পেশার মাঝখানের বৈষম্যর কথা তো আর কত বলব। যা বলছিলাম শুরুর বৈষম্য শিক্ষকতার পেশায় যোগদান কারী একজন সরকারী স্কুলের শিক্ষক শুরুতেই পায় ১৬০০০/- টাকার স্কেল আর এমপিওভুুক্ত শিক্ষক পায় ১২৫০০/-টাকা। শেষের বৈষম্য সরকারী স্কুলের শিক্ষক চাকুরির শেষে গ্রাচুয়িটি, পিএফ ও পেনশনের অন্যান্য সুবিধা ইত্যাদি মিলে যে পরিমাণ টাকা পায় তা দিয়ে তার জীবন অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারে। আর আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা চাকুরী শেষে যে টাকা পাই তা দিয়ে হয়ত কিছু দিন চলা যায়। কিন্তু সবচেয়ে বড় বৈষম্য হল সরকারী স্কুলের একজন শিক্ষকের চাকুরীর শেষের টাকা পেতে কতদিন সময় লাগে আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের টাকা পেতে কতদিন সময় লাগে। একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শেষ জীবনের টাকা পেতে এখনকার মত মাসের পর মাস নয় বছরের পর বছর ভোগান্তি পোহাতে হয়। এমপিওভুক্ত একজন শিক্ষকের কল্যান ও অবসর এর চাঁদা কর্তনের নিয়ম ছিল ৬% যা কিনা পূর্বের ফ্যাসিষ্ট সরকার শিক্ষা মন্ত্রী জোর করে ১০% করে অবৈধ উপায়ে। কেন অবৈধ বলছি তার কারণ হল এ বিষয়ে হাইকোর্টের পরিস্কার রায় থাকার পরও এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বর্তমান সরকার। ৬% কর্তনেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের যে সুবিধা প্রাপ্ত হত এখন ১০% কর্তনের ফলেও সে সুবিধা বহাল রয়েছে এটা তাহলে কোন দেশের কোন আইনের বিচার বলতে পারেন।

আরও পড়ুন……নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা।

এখন আসি চাকুরী জীবনের মাঝপথের বৈষম্য নিয়ে একজন সরকারী স্কুলের শিক্ষক বা সাধারণ একজন এ দেশের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ক্ষেত্রে কি ঘটে, একজন সাধারণ চাকুরীজীবি মাস শেষে যে বেতন পায় তার সাথে সে আরও যে পাওনাগুলো পায় সেগুলো হল বাড়িভাড়া ৪৫%, চিকিৎসা ভাতা ১৫০০টাকা, সন্তানের জন্য শিক্ষা সহায়তা ভাতা, প্রতি বছর দুটি উৎসবের জন্য বেসিকের সমপরিমাণ দুটি উৎসব ভাতা, প্রতি তিন বছর পর পর ১৫ দিনের ছুটি সহ শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কি পায় মাস শেষে যার মুল বেসিক সহ বেতন, বাড়িভাড়া ১০০০টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০টাকা আর কিছু নয়। এর থেকে আবার অন্যায় ভাবে ৬% সুবিধা দিয়ে ১০% টাকা কেটে নেয় যা কোন রিটার্ন নেই।

সবচেয়ে বড় অনিয়ম যেখানে তা হল প্রত্যেক পেশাজীবি মাস শেষে একটি নিদিষ্ট তারিখে বা মাসের শুরুতে তার বেতন ভাতা বুঝে পায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেলায় তা কোন মাসের ১৫ তারিখ কোন মাসের শেষে কখনও বা অপর মাসে এটা কিভাবে মেনে নেওয়া যায়। পরিস্কার করে বলুন যদি আমাদের বেতন প্রদানের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোন গাফিলতি থাকে। যদি রাষ্ট্র কোন প্রকার সংকটের মধ্যে থাকে সেটাও তো পরিস্কার করে বলুন।

বেতন প্রদানের বৈষম্য দুরীকরণের জন্য বর্তমান সরকার উদ্যেগ নেয় যে, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ইএফটির মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে সেই লক্ষ্যে আমাদের ইএফটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করা হয় আমাদের প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠান মাউশিকে। মাউশি তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এমন অবস্থা করেছে যে, ইএফটি পূর্ববর্তী যে অবস্থা ছিল এখন অবস্থা তার চেয়েওে ভয়াবহ। আর এর কারণ হিসাবে মাউশি দোষ চাপাচ্ছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের উপরই। মাউশির ভাষ্য মতে আমাদের নাকি তথ্যের নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো যে, আমাদের যদি তথ্যের সমস্যা থাকে তাহলে মাউশি কেন ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের এমপিওভুক্ত করল। আর কেনই বা ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের দিনের পর দিন চাকুরী করতে দিল আর বেতনই বা দিল। তাহলে কি বলব, আমরা যদি ভুল তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্ত হয়ে থাকি সেটা যেমন অন্যায় আর মাউশি যদি ভুল তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্ত করে থাকে সেটাও তো অন্যায়। কারণ অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহ্য করে দুটোই তো সমান অপরাধ।

এখন আসি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত যে সমস্যা তা নিয়ে, আর তা হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য চালুকৃত ইএফটি। সবার প্রথমে আমি যা বলব তা হলো এই আমাদের জন্য যে ইএফটি মাউশি চালু করতে যাচ্ছে এটা কিন্তু সত্যিকারের ইএফটি বা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিষ্টেম নয়। এই ইএফটি হল বিশেষায়িত ইএফটি কারণ অন্যান্য পেশাজীবিদের ইএফটির উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে পরিপূর্ণ আর আমাদের ইএফটির উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এই ইএফটির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ মাউশির। তাহলে এটাকে আপনি কিভাবে পরিপূর্ণ ইএফটি সিষ্টেম বলবেন। আমরা জানি ইএফটি সিষ্টেম চালু করতে হলে প্রত্যেক গ্রাহকের তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে হয় কারণ এটি একটি অত্যন্ত সেনসিটিভ ইস্যু কারণ এখানে আর্থিক লেনদেন হবে। তাই গ্রাহকের তথ্য সঠিক ভাবে যাচাই আবশ্যক। তবে সে যাচাই কিন্তু একজন গ্রাহকের ক্ষেত্রে একবারই করা হয় যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে তা পরিমার্জন করতে হলে একবারই তা করতে হয় এমন নয় যে, যখন কোন লেনদেন সংঘটিত হবে তখনই প্রতিবারই তার তথ্যের যাচাই বাছাই করতে হবে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যে ভোগান্তি বর্তমানে মাউশি করছে, যে কথা বলে আমাদের ভোগান্তি করছে তা হলো যে, বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিমাসে। কিন্তু ইএফটিতে তো প্রতি মাসে একই সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

মুল বিষয় যা তা হলো মাউশি কোন ভাবেই চায় না যে, আমাদের বেতন প্রদানের প্রক্রিয়া থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্বপরায়নতা ছেড়ে দিতে। কারণ এখানে তাদের রয়েছে লুকায়িত স্বার্থ যার কথা আমরা অনেকেই বুঝি বা অনেকেই জানি কিন্তু কিছু করতে পারি না। এই কারণে মাউশির কিছু দৃর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তারা প্রতি মাসে নানা ধরনের জটিলতা বা ইস্যু তৈরী করছে যাতে ইএফটি বাস্তবায়ন না হয়। কিন্তু এভাবে কতদিন? আমরা তো আর এভাবে চলতে পারছি না। এভাবে তো আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন চালাতে পারছিনা। কারণ আমাদেরও তো পরিবার আছে আছে সন্তান সন্তুতি, আছে তাদের লেখাপড়ার ব্যয়ভার। এভাবে যদি আমাদের প্র্রতিমাসে বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের বেতন প্রদানে গড়িমসি করে তাহলে আমাদের জীবন কিভাবে চলবে বলতে পারেন। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের বৈষম্য নিরসনের বা সংস্কারের অঙ্গিকার নিয়ে যারা বর্তমানের দেশ চালাচ্ছেন তাদের অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার পরিস্কার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

পরিশেষে যে, কথা বলব তা হলো এদেশের আমলা বা মাউশির কর্তা ব্যাক্তিদের উদ্দেশ্যে যে, বিষয়টা ভাল করে উপলব্ধি করুন। আমরা কিন্তু এদেশেরই সন্তান, এদেশেরই জনগণ। আমরা কিন্তু আপনাদের সকলের না হলেও কারও না কারও সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব কিন্তু আমরা পালন করি। তাহলে আমরা যদি আমাদের দায়ইত্ব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারি তাহলে ক্ষতিগ্রস্থ কারা হবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এদেশ বা এদেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

তাই আবারও বলব আমাদের এই বোঝা আর বাড়াবেন না দয়া করে। এই পরিস্থিতির সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ সমাধানের ব্যবস্থা করুন যত দ্রুত সম্ভব তাতে আমাদের যেমন উপকার হবে তেমনি উপকার হবে এদেশেরও। আর এভাবে যদি চলতে থাকে আস্তে তা কিন্তু ক্ষোভে পরিণত হবে। আর এই ক্ষোভ একদিন জনরোষে পরিণত হবে তখন কিন্তু তা সামাল দেয়া আপনাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। জনরোষ কি ব্যাপার অতীতে দেখেছেন নিশ্চয়ই। তাই সেই বর্ণনায় আর আজকে গেলাম না। তাই আবারও বলছি আর বৈষম্য তৈরী না করে বৈষম্য দুর করার ব্যবস্থা করুন। বৈষম্য কি বিষয় আর তা নিরসন করতে গিয়ে কোন পরিস্থিতির তৈরী হয় তা আপনাদের তৈরী পুর্বের সরকার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। আপনারাও তো দেখেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

One response to “এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এ-ই ভোগান্তির শেষ কোনদিন?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme