পৃথিবীটা বদলে যাচ্ছে, বা বদলে গেছে যা খুব ভাল লাগে শুনতে। কিন্তু পৃথিবীর সাথে আপনাকেও যে বদলাতে হয়, আপনার সিষ্টেমকেও যে সে বদলের সাথে পরিবর্তন করতে হয় সেটা আমরা কতটুকু করেছি। পৃথিবীর পরিবর্তনের সাথে আপনাকেও পরিবর্তন হতে হবে। যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে না পারেন তাহলে পৃথিবীর পরিবর্তন, দেশের পরিবর্তন বা আপনার সিষ্টেমের পরিবর্তন যাই হোক না কেন তা দিয়ে আপনার বা আপনার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না।
উপরের কথা গুলো বলার উদ্দেশ্য হল এই যে, বাংলাদেশের বা আমার আপনার দেশের অনেক কিছুই অনেক ধরনের পরিবর্তন হয়েছে হয়নি শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন। নিদিষ্ট করে বললে পরিবর্তন হয়নি আমাদের চাওয়া পাওয়ার।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জীবন কখনও চলমান নদীর স্বাভাবিক ধারার মত বহমান ছিল না। ভবিষ্যতে কোনদিন থাকবে বলে মনেও হয় না। কারণ নদীকে বহমান রাখতে হলে শুধু নদীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। যারা নদীর কাছ থেকে সুবিধাভোগী তাদের ইচ্ছার উপরও নির্ভর করে অনেকটা।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর নিকট থেকে সুবিধা ভোগ কিন্তু এদেশের সকল শ্রেণীর, সকল পেশার মানুষেরাই গ্রহণ করে কিন্তু তাদের বাঁচিয়ে রাখার কথা আসলেই কেন জানিনা সকলের মধ্যে একটা নাক উচু ভাব দেখা যায়।
আরও পড়ুন…..ইএফটির তথ্য সংশোধনের সর্বশেষ যে অবস্থা।
অন্যান্য সকল পেশার চাকুরীজীবিরা যেখানে মার্চ মাসের বেতন ও বৈশাখী ভাতা পেয়ে গেছেন আগামী মাসে। এমনকি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের মাদ্রাসা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন শিক্ষক কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতন গত ঈদুল ফিতরের পূর্বেই পেয়ে গেছে সেখানে আমরা যারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী রয়েছি তাদের মার্চ মাসের বেতন বৈশাখী ভাতা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছি। কিন্তু অপেক্ষার দিন আর শেষ হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল মার্চ মাসের বেতন ও বৈশাখী ভাতার ফাইল মন্ত্রণালয় অনুমোদনের জন্য। যা অনুমোদন হয়ে গেছে কিন্তু তারপর এখন পর্যন্ত আরও কোন আপডেট জানানো হয়নি মাউশি থেকে। এখন দেখা যাক কোন দিন মার্চের বেতন ও বৈশাখাী ভাতা শিক্ষক কর্মচারীর ব্যাংক হিসাবে কোনদিন পৌছে।
আমরা ১লা বৈশাখ উৎযাপন করেছি আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ভাতা ছাড়াই। শুধু উৎযাপন নয় সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক উৎযাপন করেছি। নববর্ষ উৎযাপন করার জন্য সরকারী ভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল যার সূচী তৈরী করেছিল এদেশের ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলের আমদানীকৃত আমলারা। এসকল আমলাদের কি এতটুকু লজ্জাবোধ নাই যে, নিজের টা ঠিক সময়ের আগেই পকেটে পুরে অন্যদের না দিয়ে তাদেরকে সেই কাজ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করতে।
মার্চের বেতন ও বৈশাখী ভাতা মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেয়েছে গত রবিবার। কিন্তু তারপর এখন পর্যন্ত পরবর্তী কার্যক্রম এর তেমন কোন অগ্রগতির খবর পাওয়া যায় নি। তার অর্থ যা দাঁড়ায় তাহলো এ সপ্তাহে মার্চের বেতন ও বৈশাখী ভাতা পাওয়া নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট সংশয় তৈরী হলো। কারণ মন্ত্রণালয় অনুমোদন পরবর্তী যে কাজগুলো বাঁকি থাকে তার তেমন কোন অগ্রগতির খবর পাওয়া যায় নি। আজ যদি সেই কাজ গুলো শুরু হয় বা কাজের অগ্রগতি শরু হয় সেক্ষেত্রেও এতগুলো প্রসেস শেষ করে এ সপ্তাহে বেতন ও বৈশাখী ভাতা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
সবচেয়ে বড় কথা হলো এতকিছুরও পরও আমাদের হুশ কিন্তু ফিরছে না। এত বৈষম্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার পরও যদি আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে সরব না হই তাহলে কোনদিন অধিকার আদায়ে সরব হব। আর কত অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে আমরা বিদ্রোহী হব আপনারা বলতে পারেন।
সর্বশেষ খবর আজ বিকেল থেকে বৈশাথী ভাতা ও মার্চ মাসের বেতনের টাকা জমা হওয়ার মেসেজ আসতে শুরু করেছে।
Leave a Reply