২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বর্তমান সরকার এর বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ঘোষণা দেন যে, আগামী জানুয়ারী থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ইএফটিতে প্রদান করা হবে। সেই লক্ষ্যে মাউশি কে প্রচার ও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
মাউশি নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবেনি তখন যদি গুরুত্ব সহকারে ভাবত তাহলে তারা খুব দ্রুত একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করত যে, কিভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি বাস্তবায়ন করা যায়। আসলে তারা কখনও ভাবেই নি যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা ইএফটিতে প্রদান করা হবে এবং তা বাস্তবায়ন তাদের মাধ্যমে করার নির্দেশনা আসবে।
আরও পড়ুন…..এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি ইএফটি!
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা যদি ইএফটিতে প্রদান করা হয় তাহলে মাউশির একশ্রেণীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের দীর্ঘ দিনের সুদ বাণিজ্যের অবসান ঘটবে। যার কারণে তারা কখনও কোন ভাবেই চাননি যে, এই ব্যবস্থার সঠিক বাস্তবায়ন হউক। এমনকি তারা এখনও এটা কিভাবে বাতিল করা যায় তার জন্য বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করেই চলেছে।
এমপিও ইএফটি তথ্য সংশোধন: বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ইএফটি পদ্ধতিতে বেতন প্রদান শুরু হয়েছে ১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে। শুরু থেকেই এই নিয়ে বিড়ম্বনায় আছেন অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। সম্প্রতি ইএফটিতে বেতন পাওয়ার জন্য তথ্য সংশোধন এর নির্দেশনা প্রদান করেছে কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি করতে না পারলে এপ্রিল থেকে বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার সতর্কতা জারী করা হয়েছে। সেই মোতাবেক শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে চলমান থাকবেও এটাই স্বাভাবিক। হ্যাঁ এর মধ্যে যাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে তা সংশোধন সাপেক্ষে তারা পুনরায় ইএফটির আওতাভুক্ত হবে। তাই তথ্য সংশোধন নিয়ে এত টেনশনের কিছু নাই এটি চলমান প্রক্রিয়া।
এখন সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় যা তা হল আমাদের বর্তমান সমস্যা অথ্যাৎ এক মাসের বেতন অন্য মাসে পেতে হচ্ছে এবং প্রতিমাসেই নানামুখী জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে তা কোন দিন দুর হবে। মাউশি থেকে প্রতিমাসে বেতন দেওয়ার সময় আমাদের নানাধরনের রাজ্যের জটিলতার কথা শুনাচ্ছে এটা তো ইএফটির বৈশিষ্ট্য হওয়ার কথা নয়। ইএফটির কথা যখন আমরা শুনেছিলাম বা আমাদের দেশের অন্য সকল পেশাজীবিরা ইএফটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর শুনেছিলাম যে তারা প্রতিমাসের ১ তারিখে তাদের বেতন ব্যাংক হিসাব নম্বরে পৌছে যায়। সেই সুবিধা আমরা অর্থাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা কোনদিন থেকে পাইব।
আরও পড়ুন…..এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাওয়া পাওয়া সরকারের কৌশল ও আমলাদের কূটকৌশলের কাছে পরাস্ত।
আশার ও ভরসার কথা এই যে, এই সকল বিষয় নিয়ে মাউশি, আইবাস++ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ঈদের ছু্টির আগে মিটিং হয়েছে এবং সেই মিটিং এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী জুলাই থেকে ইএফটির চলমান সমস্যা আর থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অর্থাৎ আগামী বাজেট থেকে ইএফটি পূর্ণ রূপে ফিরবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য। বাকী এই সময়টুকু আমাদের অর্থাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ইএফটি এরকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই চলবে এর ব্যাতিক্রম হবে না। নানা অজুহাতে নানা ভাবে আমাদের বেতন প্রদানে বিলম্ব করা হবে। আসলে এখন আমাদের যেভাবে বেতন প্রদান করা হচ্ছে এর মধ্যে পূর্বের সিষ্টেমের কি খুব বেশি পার্থক্য রয়েছে। আমার তো মনে হয় না। আগে আমাদের লোকাল ব্যাংকে বেতন বিল জমা দেওয়া লাগত এখন তা করা লাগছে না পার্থক্য শুধু এতটুকুই।
Leave a Reply