1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:১০ অপরাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

২২ বছরের অভিশাপ থেকে মুক্তি কবে?

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২২৭ Time View
২২ বছরের অভিশাপ থেকে মুক্তি কবে?

দেশ অনেক এগিয়ে গেছে পূর্বের পলাতক সরকার একথা সকল সময় সকল কাজে প্রকাশ করত গর্ব ভরে। আর বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সেই অগ্রগামী দেশের আসল ও গুণগত চিত্র তুলে ধরছে সুন্দর ও সুনিপুন ভাবে। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর পূর্বে, প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ শুরু হয়েছে সেই ১০৮১ইং সালে সেই হিসাবে ৪৪ বছর পূর্বে। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতা চালূ হয়েছে সেই আজ থেকে প্রায় ২১ বছর পূর্বে ২০০৩ইং সালে। ২০০৩ সালের পূর্বে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা উৎসব ভাতা পেতেন না। ২০০৩ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই বছরের অক্টোবর থেকে সেটি কার্যকর হয়।

তখন সিদ্ধান্ত হয়, শিক্ষকদের দেওয়া হবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ। তবে দুই ঈদে ২৫ শতাংশ করে ভাগ করে তা দেওয়া হবে। সেই থেকে প্রতি ঈদে শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন। ওই সভায় কর্মচারীদের শতভাগ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দুই ঈদে ৫০ শতাংশ করে তা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় দুই যুগ আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারও ঈদুল ফিতরে ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এতদিনে পৃথিবী বহু পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে ঘটেছে নানাবিধ অন্যায়ের অবসান হয়নি কেবল শুধু কোন এক অজানা কারণে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতা নামক অভিশাপ যুক্ত ভাতার উন্নয়ন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সকল ভাতা প্রদান না করলেও প্রায় বেশি ভাগ ভাতা প্রদান করে থাকে। তবে তা অনেকটা লোক দেখানো যাতে সকলকে বলা যায় আমরা দেই তো। হ্যাঁ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে দেয় না কিন্তু যা দেওয়া হয় তা লোক দেখানো শুধু নয় তা রীতিমতো হাস্যরসের খোরাক যুক্ত। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সরকার যে সকল ভাতা প্রদান করে যেসগুলো হলো উৎসব ভাতা,বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, বৈশাখী ভাতা ইত্যাদি। কিন্তু এটি প্রদানের বাস্তবতা নিষ্ঠূরতাকেও হার মানাবে। যা শুনলে আপনি বা আপনারা এটাকে এটাকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর অভিশাপ বলতে বাধ্য হবেন কেবল বৈশাখী ভাতা ছাড়া।

আরও পড়ুন……মাউশি ডিজির ঈদ সংযম নাকিদ উপহাস?

অভিশাপ হল কোন প্রকাশিত ইচ্ছা যে কোন প্রকার প্রতিকূলতা বা দুর্ভাগ্য ঘটবে বা এক বা একাধিক ব্যক্তি, একটি স্থান বা একটি বস্তুর সাথে সংযুক্ত হবে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা সহ অন্যান্য সকল ভাতা বাড়ানোর কথা উঠলেই নানাবিধ অন্যায় অজুহাত আমাদের কর্তৃপক্ষকে প্রদান করতে দেখা যায়। যেন কঠিন এক অভিশাপ দিয়ে মোড়ানো আমাদের ভাতা গুলো বিশেষ করে উৎসব ভাতা। যা বাড়ালে এ রাষ্ট্রের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু বলতে পারেন আর কতকাল আমরা এই অভিশাপের বোঝা বয়ে বেড়াবো।

এখন আসি আমাদের নিজের ব্যর্থতা নিয়ে কিছু বলার জন্য, দেখেন সিনেমা বা মুভিতে দেখা যায় যে, অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দরকার হয় খুব জ্ঞানী ও শক্তিশালী ওঝার। কিন্তু সত্যি বলতে কি এই জ্ঞানী বা প্রজ্ঞাবান ওঝার বড়ই ওভাব আমাদের। তবে ওঝার কিন্তু অভাব নেই কিন্তু কাজের ওঝা এখন পর্যন্ত তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। যা দু একটা দেখা যায় মাঝে মাঝে তারাও বেশিদিন টিকতে পারে না। অভিশাপ ও ভন্ড ওঝাদের কারণে।

শিক্ষকরা বলছেন, দুই ঈদে ৫০ শতাংশ বোনাসের সিদ্ধান্ত যখন হয়, তখন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের ৯৫ শতাংশ সরকারের কাছ থেকে পেতেন। বর্তমানে শতভাগ বেতন সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেলেও দীর্ঘ ২৩ বছরেও শিক্ষকদের বোনাস বৃদ্ধি পায়নি। তাহলে এই সিদ্ধান্তকে আমরা কি বলব, তাহলে নিশ্চয়ই এই ভাতায় কারও কোন অভিশাপ দেওয়া আছে যে অভিশাপের কবল থেকে আজ অবধি এই ভাতা মুক্ত হতে পারে নি।

আর একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হল এই যে, সরকার যদি আমাদের উৎসব ভাতা একেবারেই না দিত তাহলে এত বিষয়টা দৃষ্টিকুটু লাগত না। আমরা বিষয়টা মেনে নিতে পারতাম যে, আমাদের পেশায় কোন উৎসব ভাতার প্রচলন নাই। অতএব আমাদের এভাবে মানিয়ে চলতে হবে। কিন্তু বিষয়টা চালূ থাকার পরও যদি সারাজীবন একই রকম থাকে তাহলে বোঝার আর বাঁকি থাকে না যে, এখানে কর্তৃপক্ষের সদ্বিচ্ছার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

হ্যাঁ সরকার যখন শুরু করেছিল তখন হয়ত অল্প থেকে শুরু করেছিল তা ভাল কথা কিন্তু সারাজীবন সেখানেই আটকে থাকতে হবে তাহলে বুঝতে হবে কোন একটি নিদিষ্ট কারণ নিশ্চয় আছে। কিন্তু সে কারণ যদি অপ্রকাশিত থাকে। তাহলে বলতেই হয় এটিতে কোন না কোন অভিশাপের কারণে সেটা বাড়ানো হচ্ছে না।

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, মূল বেতনের ২৫ শতাংশ বোনাস পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে কলেজের অধ্যক্ষদের বেতন স্কেল ৫০ হাজার টাকা, উপাধ্যক্ষ ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষদের ৪৩ হাজার টাকা, সহকারী অধ্যাপকের ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা, টাইম স্কেলপ্রাপ্ত প্রভাষক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ২৯ হাজার টাকা, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ২৩ হাজার টাকা, প্রভাষক/গ্রন্থাগারিক, সহকারী শিক্ষকদের (টাইম স্কেলপ্রাপ্ত) ২২ হাজার টাকা, প্রদর্শক/সহকারী গ্রন্থাগারিক/শরীরচর্চা শিক্ষক/সহকারী শিক্ষকদের (টাইম স্কেল ব্যতীত) ১৬ হাজার টাকা এবং সহকারী শিক্ষকদের (বিএড ব্যতীত) ১২ হাজার ৫০০ টাকা।

এই সামান্য অর্থ দিয়ে একজন শিক্ষকের পক্ষে কোনোভাবেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করা সম্ভব নয়। তার চেয়ে যদি না দিত তাহলে আমরা এককথায় বলতাম যে, আমাদের কোন উৎসব ভাতা সরকার প্রদান করে না। উৎসব আমাদের জন্য নয়।

এ শিক্ষক নেতা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের লাগাতার ২২ দিনের আন্দোলনের কারণে সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বিদায়ী প্রেস ব্রিফিংয়ে আগামী ঈদ-উল-আযহা থেকে উৎসব ভাতা বৃদ্ধির এবং সম্পূরক বাজেট এবং আগামী বাজেট থেকে বাড়িভাড়া ও মেডিকেল ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা অবিলম্বে ঘোষণা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। দেখা যাক এবার অন্তত আমরা এই কঠিন অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারি কিনা?

সরকারের পক্ষ থেকে বলা কথার বাস্তবায়ন সম্পর্কে মাউশিতে জানতে চাইলে বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জেনেছি। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্যারেন্ট প্রতিষ্ঠান হলো মাউশি সেই মাউশির নিকট যদি আমাদের ভালো মন্দ প্রদানের খবর না থাকে বা রাখে তাহলে তাদের আন্তরিকতা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন করাই যায়। তাহলে কি বলব বাস্তবায়নের খবর আপনাদের নিকট নাই ভাল কথা, তবে বাস্তবায়ন যেন সঠিক ভাবে না হয় তা বাঁধা তো আপনারা খুব ভালভাবে দিতে পারেন ।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা সহ অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার যদি এখনও যুগোপোযোগী সিদ্ধান্ত না নেয়। সরকার বা যথাযথ কর্তপক্ষ যদি এই ভাতা প্রদানের অভিশাপ থেকে এখনও আমাদের মুক্তি না দেয় তাহলে কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অভিশপ্ত আত্নার রোষানলে পুড়ে যাবে একসময়। যা এ দেশ ও জাতির জন্য হবে এক অকল্যাণকর।

Please Share This Post in Your Social Media

One response to “২২ বছরের অভিশাপ থেকে মুক্তি কবে?”

  1. […] আরও পড়ুন……২২ বছরের অভিশাপ থেকে মুক্তি কবে? […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme