ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংক থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও উৎসব ভাতার টাকা উত্তোলন করেছেন স্কুল-কলেজের সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষক। যদিও এখনো কেউ কেউ বেতন পাননি বলে অভিযোগ করছেন। তবে অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারী কিন্তু তাদের বেতন ও বোনাসের টাকা উত্তোলন করতে পেরেছে। অনেকের মন ও প্রাণ অনেকটা উৎফুল্ল যে, তারা ঈদের আগে বেতন-বোনাস পেয়ে তাদের নিকট আত্নীয় স্বজনের জন্য কিছুটা আনন্দের উৎস হতে পারবে। এর জন্য তাদের মনে স্বস্তি বিরাজ করছে । তবে চলতি মার্চ মাসের বেতন নিয়ে আবারও দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদ উৎসব ভাতার টাকা তুলেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এধরনের সুযোগ সুবিধা আমার যতদুর মনে পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য এই প্রথম। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ। যদিও বেতন-বোনাসের টাকা তুলতে তারা মাত্র দুই ঘণ্টা সময় পেয়েছেন। এবং অনেক ব্যাংক কিন্তু দুই ঘন্টাও লেনদেন করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তারপরেও অনেকটা উপকার হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের ফলে।
আরও পড়ুন…….আমাদের আজকের পরিস্থিতির জন্য কি আমরা নিজেরাই দায়ী নই?
শিক্ষক-কর্মচারীরা বলছেন, ঈদের দুইদিন আগে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। মার্চের বেতন কবে পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই। এবং শিক্ষক কর্মচারীদের চাওয়া মতে যেহেতু অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন ঈদের আগেই পেমেন্টে করা হয়ে গেছে। সবেচেয়ে বড় কথা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দের একাংশ কিন্তু মার্চ মাসের বেতন পেয়ে গেছে অর্থাৎ মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের কথা বলছি। সেই কারণে আমাদেরও মার্চ মাসের বেতন আমরা ঈদের পর পরই অর্থাৎ ছুটি শেষ হলেই আমরা মার্চ মাসের বেতন প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষক-কর্মচারীদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে বেতন ভাতা দিতে অযথা অকারণে ভোগান্তি তৈরি করা হয়েছে। নিয়মিত বেতন পরিশোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসাথে ঈদের পর ১০ এপ্রিলের মধ্যে মার্চ মাসের বেতন দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী।
স্কুল কলেজের শিক্ষক কর্মচারীগণ জানান, ইএফটিতে বেতন চালুর পর থেকে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক মাসের বেতন আরেক মাসে নিতে হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির বেতন আজ হাতে পেলাম। জানিনা মার্চ মাসের বেতন কবে পাবো। শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে এ তামাশা বন্ধ হওয়া জরুরি।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা জানুয়ারি মাসের বেতনও পেয়েছেন। তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদ উৎসব ভাতা আজ শুক্রবার তুলতে পেরেছেন।
৫ম ধাপে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে দুই মাসের বেতন ও ঈদ উৎসব ভাতা দেওয়া হয়েছে। তারও আজ ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন।
তবে আমার সুত্র মতে বা আমি যতটুকু জানি সেই অনুসারে বলতে পারি মার্চ মাসের বেতন স্কুল কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখের পূর্বে পাওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নাই। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি। কারণ ঈদের পর অফিস চালূ হবে ৬ তারিখ এবং সপ্তাহের শেষ তারিখ ১০ তারিখ এই কয়দিন মাউশির কর্মকর্তা ঈদ পূর্ণমিলনী ও নানা অজুহাতে পার করবে। বেতন দেওয়ার কার্যক্রম মুলত শুরু করবে ১৩ বা ১৪ তারিখের পর তাহলে এখন বুঝন বেতন কত তারিখে পাবেন। খুব তাড়াতাড়ি দিলেও আপনি ১৮ তারিখে দিকে পেতে পারে নতুবা ২০ তারিখে দিকে পাবেন।
[…] আরও পড়ুন…..বেতন ও বোনাস উত্তোলন ও মার্চের বেতনের … […]