প্রতিবছর উৎসব আসলেই নানামুখী বাহানা মাউশির তৈরি করা থাকে। কি ভাবে বলতে হবে, কি কারণ দেখাতে হবে সেই ছক তৈরি করতে মাউশি ব্যস্ত থাকে কয়েক সপ্তাহ। এই কাজে সময় ব্যয় না করে যদি এই সময়টা উৎসব ভাতার পিছনে ব্যয় করত তাহলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা রমজানের শেষ সপ্তাহে বোনাস পাওয়ার অপেক্ষায় থাকত না। তারা বোনাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হতো না।
এই আজকে যে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলো এই প্রস্তাব একটু তৎপর হলে মাউশি কিন্তু গত সপ্তাহে বেতনের সাথে পাঠাতে পারত। তাহলে কি মাউশির কোন ক্ষতি হয়ে যেত। আসলে সবকিছুই হলো মানসিকতা।
আরও পড়ুন….এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাগ্যেন্নোয়নে অন্যতম প্রধান বাঁধা এদেশের আমলারা!
এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উৎসব ভাতার প্রস্তাব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৩ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র একাধিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, স্কুলের ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ জন ও কলেজের ৮৪ হাজার ২৫ জন শিক্ষকের উৎসব ভাতার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এখন এ প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাস হয়ে আইবাস++ পর্যন্ত পৌছাতে পৌছাতে কম করে হলেও আরও তিন দিন লাগবে। যদি কোন নতুন জটিলতা তৈরি না হয় তাহলে। এভাবে যদি প্রতি বছর একই কারণ আর একই মানসিকতা দেখায় তাহলে পরিবর্তন কি হলো এদেশের। তাহলে ইএফটি মাধ্যমে বেতন প্রদানের নিয়ম চালু করে কি লাভ হলো আমাদের।
প্রতিবছরই যদি একই সমস্যা হয় তাহলে সেই সমস্যা নিয়ে মুল্যায়ন কি হবে বলেন। যে কাজ এক সপ্তাহ পরে মাউশি শুরু করে সেই কাজ এক সপ্তাহ আগে শুরু করলে এত জটিলতা দেখা দেয় না নিশ্চয়ই। প্রতিবছর যখন একই সমস্যা একই ফ্রেমে দেখা দিচ্ছে তাহলে কিন্তু মাউশির নিবেদন নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন করাই যায়।
এখন অপেক্ষা করা ছাড়া আর আমাদের কোন উপায় নাই। কারণ আমাদের ভাগ্য আমরা নিজেরাই পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক না। “যে ব্যাক্তি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তনে উদ্যোগী না হয়, সৃষ্টি কর্তাও তার ভাগ্য পরিবর্তন করে না।” ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ডাক দিলে আমরা ঘরে বসে সোস্যাল মিডিয়াতে পোষ্ট, লাইক আর উইশ করতে ব্যস্ত থাকি। শ্বশরীরে ভাগ্য পরিবর্তনে অংশগ্রহণ করতে চাই না। যতদিন আমদের মধ্যে নিজেদের তাড়না তৈরি না হবে ততদিন আমাদের ভাগ্যের তেমন কোন পরিবর্তন হবে না।
খামাখা ইএফটির মূলো ঝুলানো হলো কেন? মার্চ মাস চলে যাচ্ছে অথচ ফেব্রুয়ারির বেতনের খবর নেই? েবেশিকদের জন্য কী ইএফটি গরুর গাড়ি হয়ে গেলো নাকি?