গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা ২৩ মার্চ দেওয়া হবে। এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের মতো পেনশনাররাও একইদিনে তাদের অবসরের ভাতা পাবেন; কিন্তু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হতভাগা প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতন ঈদের আগে দেওয়া হচ্ছে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানায়। এমনকি ফেব্রুযারির বেতন নিয়ে নানামুখী সংশয় তৈরী হয়েছিল। অবশেষে MPO শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারীর বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যেখানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৩,৬৪,২৩৯ জন্য শিক্ষক কর্মচারী।
আরও পড়ুন…. ইএফটির তথ্য সংশোধন নিয়ে সর্বশেষ আপডেট।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর ফেব্রুয়ারি মাসের পেমেন্ট তালিকা ইএফটি মডিউলে যুক্ত করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় থেকে বেতনের প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর প্রধান হিসাব রক্ষকের নিকট প্রেরণ করা হবে সেখান হতে অনুমোদনের পর আইবাস++ এর নিকট প্রেরণ করা হবে। আইবাস++ শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাব নম্বরে বেতন সেন্ড করবে।
প্রশ্ন হলো অন্য জায়গায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের জটিলতা নিরসনের জন্য ইএফটিতে বেতন ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যা বাস্তবায়নের গুরু দায়িত্ব পরে মাউশির নিকট। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে মাউশি তা সঠিক ও সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়ন না করে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ইএফটি নিয়ে দিনের পর দিন নানামুখী জটিলতা তৈরি করেই চলেছে।
ফেব্রুয়ারীর বেতন অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠানো হলো এর সাথে কি বোনাস অনুমোদনের ফাইলও মান্ত্রণালয়ে পাঠানো যেত না। যেত তো? পাঠালে কি হত? পাঠালে যা হতো শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন ও বোনাস একসাথে পেত। তাইতো নাকি?
আসলে মাউশি চাইছে কি? মাউশির চাওয়া পাওয়ার হিসাব কিন্তু দিন দিন পানির মত পরিস্কার হয়ে যাচেছ। মাউশি কেন দিনের পর দিন ইএফটি নিয়ে এত জটিলতা সৃষ্টি করছে আমরা কি তা বুঝি না? অবশ্যই বুঝি। মাউশি চাচ্ছে এভাবে দিনের পর এভাবে জটিলতা তৈরি করে শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটির প্রতি একটা বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব তৈরি করে পুনারায় এনালগ পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া যায় কিভাবে।
একটু ভেবে দেখেন শিক্ষক কর্মচারীদের তালিকা তৈরি, যাচাই বাছাই, অবসর ও অন্যান্য বিষয় বিবেচেনা করা হয় কিন্তু এখন সফটওয়্যার ভিত্তিক এখন কিন্তু আগের মত আর হাতে কলমে তালিকা প্রস্তুত করা হয় না যে, তা করতে দিনের পর দিন সময় লাগবে। সফটওয়্যার ভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করতে দিনের পর দিন লাগার কথা নয় কোন ভাবেই।
প্রতিমাসে তো আর শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য নতুন নতুন করে ভেরিফিকেশন করা লাগে না। যার কারণে প্রতিমাসে একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজানো লাগবে আর আমাদের শোনা লাগবে।
পরিশেষে একটা কথা বলে শেষ করব আজকের মত আর তা হল, “প্রত্যেক ক্রিয়ারই কিন্তু একটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে”।
Leave a Reply