এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা আজীবন শোষণের যাতাকলে পিষ্ট এই পিষ্টতা থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে ববর্তমান সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করে তা আজ প্রশ্নের সম্মুখীন মাউশির কিছু বির্তকিত সিদ্ধান্তের কারণে। বেতন প্রদানের বৈষম্য দুরীকরণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেতন-ভাতা দেয়ার ঘোষণা দেয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন ছাড় হয়। ৩য় ধাপে আরও ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ইএফটিতে প্রদান করেন। সর্বশেষ গত সপ্তাহে ৪র্থ ধাপের ৮ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে বেতন পেয়েছেন। ৫ম ধাপে ৮ হাজার ৮৮৭ জন ইএফটির মাধ্যমে বেতন পাবেন।
কিন্তু জানুয়ারী মাস গত হওয়ার পর নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ফেব্রুয়ারীর ১ তারিখে জানুয়ারী মাসের বেতন পাওয়ার কথা থাকলেও ফেব্রুয়ারী মাস শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত জানুয়ারী মাসের বেতন কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ বুঝে পায়নি। অবশেষে আজ শুক্রবার জানুয়ারী মাসের পেমেন্ট তালিকা প্রকাশ করে মাউশি। এখন দেখো যাক বেতনের টাকা শিক্ষক কর্মচারীদের একাউন্টে কখন যোগ হয়। কারণ বেতন প্রতিক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে মাস শেষ তারপর আবার একদিন পর শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান।
পরিশেষে বলব জানুয়ারী মাসের তো একটা ব্যবস্থা হল ফেব্রুয়ারী মাস কিন্তু শেষ। মাউশির নিকট আকুল আবেদন এই যে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেব্রুয়ারীর বেতন প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আর যে সকল শিক্ষক ৫ম ধাপের ও যারা এখনও কোন ধাপের আওতাভুক্ত হতে পারেনি তাদের অতিদ্রুত বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করুন।
Leave a Reply