এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) জানুয়ারির এমপিও ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন দেখা যাক শিক্ষক কর্মচারীদের হাতে বেতন পৌছাতে আরও কতদিন লাগে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বাজেট) লিউজা-উল-জান্নাহ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্কুলের ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৪ জন শিক্ষকের ও কলেজের ৮০ হাজার ৫২৭ জন শিক্ষকসহ মোট ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষকের ইএফটিতে জানুয়ারির এমপিও ছাড়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে বেতন ছাড়ের অনুমোদন হয়েছে। এখন এটি চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ছাড় হবে। আজ বুধবারের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন তুলতে পারবেন।
সরকারি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হতো। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো। ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হতো। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জুটতো।
এই পরিস্থিতির উত্তরণে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন ছাড় হয়।
Leave a Reply