বাংলাদেশের সকল পেশার সকল মানুষের কাছে একটা প্রশ্ন করব আজ আশা করি সকলে জেনে বুঝে তার পর এর উত্তর দিবেন। আচ্ছা বলেন তো এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কি সরকার অকারণে বেতন ভাতা প্রদান করে। যদি মাউশি মনে করে আমাদেরকে এদেশের সরকার অকারণে বসে বসে প্রতিমাসে বেতন দেয় তাহলে আমাদেরকে এ পেশায় রাখার তো কোন যুক্তি হয় না। আর যদি তা না হয় তাহলে কেন প্রতিমাসে আমাদের সাথে এধরনের খেলনার মতো আচরণ করবে মাউশি আর এদেশের সরকার কেন তার প্রতিকার করতে পারবে না। আমরা কি মানুষ না আমাদের কি কোন প্রয়োজন নাই আজ প্রায় দুমাস হতে চলল মাউশি বিভিন্ন টালবাহানা করে আমাদের বেতন বন্ধ করে রেখেছে। যারা সত্যিকার কোন কারণ নাই। প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন কারণ উল্লেখ করে মাউশি।
এ সপ্তাহে জানুয়ারি মাসের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন না হওয়ায় এই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে নতুন করে আবার জানিয়েছে মাউশি। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা জানান, ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতন ছাড়ের প্রস্তাব গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এখনো সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ফলে চলতি সপ্তাহে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। তাহলে একটা বিষয় ভেবে দেখেন এ সপ্তাহে যদি বেতন না হয় তাহলে আর এ মাসে হবে না। এমাসে না হলে শিক্ষক কর্মচারীরা রমজান মাস কিভাবে শুরু করবে বলতে পারেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ ধাপ মিলিয়ে ৩ লাখ ৪৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ছাড়ের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ার পর তা চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এরপর জিও জারি হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা জানুয়ারি মাসের বেতন তুলতে পারবেন। সে হিসেবে চলতি সপ্তাহে বেতন হওয়ার সম্ভাবনা কম।’ইএফটি হলে বেতনের সকল সংকট কেটে যাবে বলে ভাবা হয়েছিল কিন্তু এখন তো দেখছি সমস্যা আরও বেশি সৃষ্টি করছে মাউশি এবং এ সমস্যাগুলো অধিকাংশ মাউশির নিজের অব্যবস্থাপনার কারণে তৈরি হচ্ছে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতনের প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বাজেট) লিউজা-উল-জান্নাহ বলেন, ‘জানুয়ারি মাসের বেতনের প্রস্তাব অনুমোদন দিতে আরও দুই-তিনদিন লাগবে।’ প্রস্তাব অনুমোদনে কেন বিলম্ব হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। তারা সঠিক করে কোন তথ্য দিতে তো পারে না বা চায় না। বেশি প্রশ্ন করলে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এখন আরও ভোগান্তি আরও বেশি তৈরি করছে মাউশি।
ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। তবে তারা এখনো জানুয়ারি মাসের বেতন পান নি। যে যত পারেন সবাইকে এ পোষ্টটি যত শেয়ার করে জানিয়ে দেন মাউশির অব্যবস্থপনার নমুনা।
Leave a Reply