গত ০৫ তারিখে সরকার যখন ঘোষণা করে যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন আগামী জানুয়ারী মাস থেকে অর্থাৎ ডিসেম্বর বেতন ইএফটিতে পাবে। এর ফলে যা হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ আনন্দে আত্নহারা হওয়ার উপক্রম। কেননা তারা ভাবতে শুরু করলেন যে, এখন থেকে আর তাদের বেতন পেতে মাসের অর্ধেক অতিক্রম হবে না। এখন থেকে তারা বেতন পাওয়ার জন্য সভাপতি নামক এক মানব যন্ত্রের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য দিনের পর দিন তার কাছে ধরনা দিতে হবে ন। এখন থেকে তাদের বেতন সরাসরি মাসের ০১ তারিখে নিজ ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়ে যাবে। কিন্তু এই আনন্দ বিশাদে পরিণত হতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি কেউ কেই দুই একদিন পরই সেই গ্যাড়াকলে পড়েছেন কেউ কেউ পড়েছেন এক মাস পর। আগে তো মাসের ১০/১২ তারিখে বেতন পাওয়া যেত এখন মাসের পুরোটাই শেষ কিন্তু বেতনের কোন খবর নাই।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হচ্ছে। আর ৫ম ধাপে আরও ৮৮০০ শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির আওতায় আসবে। যদিও ৫ম ধাপের ইএফটির আওতাভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা এখনও তাদের বেতন ইএফটির মাধ্যমে পায়নি। কিন্তু সংকটের সমাধান কিন্তু এখানে নেই বরং এখানে রয়েছে সংকটের পূর্বাভাস।
ইএফটির সিস্টেমের কথা বলে দিনের পর দিন শুধু অতিবাহিত করা। শিক্ষক কর্মচারদের তথ্য যাচাই বাছাই এর নাম করে শিক্ষকদের মানসিক হয়রানি যেন নিত্যদিনের কাহিনী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুল কথা হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন কোনদিন পাওয়া যাবে তার নিয়ন্ত্রণ করে মাউশি। মাউশি সিদ্ধান্ত মোতাবেক এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী কোন বেতন পাবে তা নির্ধারিত হবে। এখানে ইলেকট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফার বলেন আর রোবোটিক ফান্ড ট্রান্সফার বলেন কোনটাতেই কোন কাজ হবে না মাউশি যদি ইচ্ছা না করে।
ইএফটি কার্যক্রম পরিচালিত হয় আইবাস++ সফটওয়্যার এর মাধ্যমে। তো আইবাস++ এর নিকট ফান্ড যোগাড় করে দিলেই না আইবাস++ টাকা শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার করবে না দিলে করবে কিভাবে। মাউশি যদি ১ তারিখে টাকা আইবাস++কে দেয় তবেই না তারা বেতন দিতে পারবে ১ তারিখে। না দিলে কোথায় থেকে দিবে।
মাউশি যেভাবে ইএফটি কার্যক্রম চালাবে সেভাবেই পরিচালিত হবে। ইএফটি কার্যক্রম মাউশি যেভাবে চালাবে সেভাবেই চলবে। তাই চিন্তার কোন কারণ নাই মাউশি যদি ইচ্ছা করে জানুয়ারীর বেতন মার্চে দিবে তাহলে সেটাই কার্যকর হবে এখানে ইএফটির কোন দোষ নাই আইবাস++ কিছু করার ও নাই।
Leave a Reply