এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানে দ্রুততা আনতে সরকার ইএফটির মাধ্যমে বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। যা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার মতই সিদ্ধান্ত এবং সত্যিই এই জন্য সরকার একবার নয় হাজারবার ধন্যবাদ পাওয়ার কথা। কিন্তু এর উল্টো পিঠেই লুকিয়ে আছে রাজ্যের হতাশা সেই হতাশা কিভাবে ঠেলে শিক্ষক কর্মচারীরা সরকারকে তার প্রাপ্য ধন্যবাদ দিবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে অনেকের এমপিওশীটের নামের সাথে NID এর নামের ডট (.), হাইফেন (-), কমা (,) বা আক্ষরিক অমিল আছে অথবা ব্যাংক হিসাবের নাম আংশিক ভুল আছে, কিন্তু জন্মতারিখ অভিন্ন এমন ১,৫২,২২০ জন শিক্ষক- কর্মচারীর ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের এমপিও এর অর্থ ইতোমধ্যে ২য় ও ৩য় লটে EFT-তে প্রেরণ করা হয়েছে। এমপিওশীটের নাম এবং NID এর নাম অভিন্ন কিন্তু জন্মতারিখ একই বছরে তবে অভিন্ন নয় এমন ৮,২৩৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের এমপিও এর অর্থ প্রেরণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং ৮,৮৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই এর জন্য আইবাস++ এ প্রেরণ করা হয়েছে। যারা কিনা ৫ম ধাপে তাদের বেতনের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে। পাশাপাশি তাদের তথ্য সংশোধন করার প্রক্রিয়াও চলমান থাকবে।
বর্তমানে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভাবনায় ফেলে দিয়েছে তা হল ইএফটির তথ্য সংশোধন। কারণ তথ্য সংশোধন প্রক্রিয়া অনেটিকটা সময়সাপেক্ষ ও জটিল। নিচের যে যে বিষয়গুলো সাধারণত শিক্ষক কর্মচারীদের সংশোধন করা লাগবে তা কোনটা কিভাবে সংশোধন করা যাবে তার নির্দেশনা এই লিংক গুলোতে পেয়ে যাবেন আশা করি।
অনলাইন বলেন আর অফলাইন যেভাবেই আপনি শিক্ষা সনদ ও এনআইডি সংশোধন করতে চান ১৫ থেকে ২০ দিনের আগে হবে না। তাহলে মাউশি প্রদত্ত সময়ের মধ্যে কিভাবে কাজ শেষ হবে। শিক্ষা সনদ ও এনআইডি কার্ড সংশোধন করার পর এমপিওশীট সংশোধন করা লাগবে তাহলে কিভাবে কি হবে এটা কিন্তু মহা ভাবনার বিষয়।
আসলে মাউশি চাইছে কি আমাদের সাহায্য করতে না হয়রানি করতে। আমাদের সাহায্য করতে যদি চায় তাহলে যথেষ্ট সময় দিতে হবে তো। যথেষ্ট বা প্রয়োজনীয় সময় যদি না দেয় তাহলে তথ্যগুলো কিভাবে সঠিক ভাবে সংশোধন হবে। একবার তাড়াহুড়া করে ইএফটির আওতায় নিতে গিয়ে মাউশি আমাদের যা করেছে তা তো দেখতেই পাচ্ছি আমরা। তাই মাউশির নিকট আকুল আবেদন এই যে, দয়া করে তথ্য সংশোধনের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সময় প্রদান করুন। অন্যথ্যায় আমরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মধ্যে পড়ব।
আর একটা ভাবনার বিষয় হলো এই যে, প্রত্যেকটা সংশোধনীর সাথে কিন্তু উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিস জড়িত যারা কিনা সকল সময় শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে ব্যস্ত থাকে। তাদের একমাত্র কাজ হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কিভাবে অপমান অপদস্ত করা যায়। প্রত্যেকটা বিষয়ের ভাল দিকের পাশাপাশি তার কিছু অন্ধকার দিকও থাকে। উচিত হলো অন্ধকার দিকটা সবাই সম্মিলিত ভাবে মোকাবেলা করতে হয়।
মাউশি সংশোধনের কথা বলতেছে কিন্তু সহায়তার কথা বলিতেছে না। মাউশির সহায়তা ছাড়া এ-ই মহাযজ্ঞ পাড়ি দেওয়া কিন্তু কঠিন হবে শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য। সঠিক সময়ে তথ্য সংশোধনের জন্য সর্ব প্রথম যে প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা দরকার সে প্রতিষ্ঠান হলো মাউশি। মাউশি ইচ্ছা করলেই শিক্ষক কর্মচারীদের কাজের চাপ অনেকাংশে কমিয়ে বা সহজ করে দিতে পারে। মাউশি যদি চায় আমাদের তথ্য সংশোধনের উপায় অনেক সহজ থেকে সহজতর করে দিতে পারে। আর সেই জন্য মাউশির প্রথম যে কাজটা করা উচিত তা হল যে সকল শিক্ষক কর্মচারীর যে যে তথ্য সংশোধন করা লাগবে সেই তথ্য গুলো অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ইএফটির প্যানেলে দৃশমান করা। কারণ সেই নির্দেশনা মোতাবেকই তো শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের করণীয় কাজ গুলো সম্পন্ন করবে।
মাউশি যদি সঠিক সময়ে শিক্ষক কর্মচারীদের সহায়তা না করে তাহলে শিক্ষক কর্মচারীদের হয়রানির শেষ থাকবে না। যা আমাদের কারও কাম্য নয়। তাই মাউশির কাছে আকুল আবেদন সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর পক্ষ থেকে এই যে, দয়া করে আমাদের কাজের জটিলতা কমিয়ে আমাদের সহায়তা করুন। হয়রানি মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসুন হয়রানির মাধ্যমে প্রকৃত অভিভাবক হওয়া যায় না। প্রকৃত অভিভাবক হতে হলে বিপদের সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
আমাদের সব কাগজ পত্র ঠিক আছে।মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উপজেলা থেকে সব কাগজই দেড়ি করে পাঠানোর কারনে ডিসেম্বরের বেতনও পাইনি।