আজ ১২/০২/২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট এর নেতাকর্মীদের সাথে গুরত্বপূর্ণ মতবিনময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় উভয় পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত হৃদ্যতা পূর্ণ ভাবে মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সেই সভায় মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মাচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী শিক্ষক কর্মচারীদের জানান যে, আপনাদের সকল দাবীর বিষয়ে আমি অবগত এবং আপনারা যে, আন্দোলনে যাচ্ছেন সেটাও আমি জানি। তাই আমি বলছি যে, আগামী বাজেট থেকে আপনাদের সকল ভাতা বর্ধিত করণ করা হবে এবং এ বিষয়ে তিনি নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মাচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী শিক্ষক কর্মচারীগণ জানান যে, মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের উৎসব সামনে সন্নিকটে তাই উৎসব ভাতা যদি আগামী উৎসবে আগে দেওয়া যায় তাহলে আমরা খুব উপকৃত হই। এ বিষয়ে মাননীয় উপদেষ্টা জানান যে, আমি এখনও হিসাব নিকাশ শেষ করতে পারিনি। হিসাব নিকাশ করে দেখি যদি সম্ভব হয় তবে বিবেচনা করে দেখব।
হয়ত অনেকেই বলবেন যে, বিগত দিনে আমরা আশ্বাসকে বিশ্বাস করে ঠকেছি এবার আবার ঠকবো নাতো। এখানে যে কথাটি উল্লেখযোগ্য তা হলো অতীতের সরকার ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্যে আর বর্তমানে যারা জড়িত আছে তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্য যে বিদ্যমান তা আমরা মনে হয় সকলেই বিশ্বাস করি। তাই একটা কথা মনে হয় এখানে বলা যায় যে, এতদিন তো আমরা রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বিশ্বাস করে ঠকেছি এবার দেখি অরাজনৈতিক লোকদের একবার বিশ্বাস করে কি জয় পাওয়া যায় কিনা। যেখানে শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেও কিন্তু একজন শিক্ষক ছিলেন তাই এবার একজন শিক্ষকে বিশ্বাস করে দেখি কি অবস্থা হয়।
“আশায় বাঁচেও চাষা, আশায় মরেও চাষা”।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২/০২/২৫ তারিখ থেকে যে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মাচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ থেকে,জানানো হয়েছে। তবে যে সকল শিক্ষক কর্মচারীগণ ইতিমধ্যে আন্দোলনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রেসক্লাবের উদ্দেশ্যে তাদেরকে সেখানে এ বিষয়ে অবগত করার জন্য জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। আর যারা এখনও রওনা দেননি তাদের আর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হওয়ার যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় না।
Leave a Reply