হঠাৎ করে মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা আসায় অনেক চাকুরীজিবীর মতো আমিও খুশি হয়েছিলাম যে, বেতনের পরিমাণ বাড়বে, পকেটের স্বাস্থ্য বাড়বে। কিন্ত পরক্ষণেই আবার ভাবি এ সিদ্ধান্ত কি আসলেই যৈক্তিক আসলেই বাস্তবায়ন যোগ্য। কারণ দেশের এখন ক্রান্তিকাল চলছে মুল্যস্ফীতির চাপেই সবাই পিষ্ট আবার এর মধ্যে যদি মহার্ঘভাতার ঘোষণা করা হয় হয়। তাহলে চাকুরীজীবি আমরা হয়ত কিছুটা উপকার পেতে পারি যদিও সে উপকার বাস্তবে কতটুকু কাজে লাগবে তা সকলেরই অনুমেয়।
মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের একপক্ষকে রাজি করানো ছিল আমলাদের বিশাল এক কুটকৌশল। যার ফলে লাভবান হবে আসলে সরকারের বিরোধী পক্ষরা আর তার পেছনের কারিগর হিসেবে ফায়দা লুটবে আমাদের আমলাতন্ত্র। বিষয়টা এমন মহার্ঘ ভাতা যদি সরকার ঘোষণা করে তাহলে সরকার সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়বে। আর যদি ঘোষণা না করে তাহলে সরকারী চাকুরীজিবিদের রোষানলে পড়বে। এটা ছিল আমলাদের কুটকৌশল অনেকটা উভয় সংকটে ফেলার মত।
এই অপপ্রয়াসটা আমলারা বাস্তবায়ন করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে। কারণ খেয়াল করেন ইতিমধ্যেই মহার্ঘ ভাতা না দিলেও দেওয়ার কথা শুনেই কিন্তু একেশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা আমলাদের যোগসাজসে নিত্যপন্যের দাম অনেকটা বাড়িয়েছে। সকল ধরনের চাউলের দাম কিন্তু কেজি প্রতি 10 টাকা বেড়েছে। তেলের দাম বেড়েছে।
কিন্তু এখন তো মহার্ঘ ভাতা ঘোষনা হলো না নিত্যপন্যের দাম কি আর কমবে কমবে নাতো। তাহলে এর ফলে কি হল যা হল সেটা হল যে, সরকারী চাকুরীজীবিদের কাছে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হল। যেটা চেয়েছিল আমলারা।
তাই আমাদের সরকার ব্যবস্থার উচিত আরও সাবধানী হওয়া। আরও ভেবে চিন্তে ধাপ ফেলা।
Leave a Reply