বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কমর্রত এমপিওভুক্ত ৩ লক্ষ আশি হাজার শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ১ম ধাপে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদান করে ইএফটির মাধ্যমে। তারই ধারাবাহিকতায় গত১৯ তারিখে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী দ্বিতীয় ধাপে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি)-এর মাধ্যমে বেতনের পেমেন্ট লিষ্ট প্রকাশ করেছেন এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরও বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটিতে ৩য় ধাপে বেতন প্রদান করা হবে। ২য় শিক্ষক কর্মচারীদের কেউ এখনও বেতনের টাকা বুঝে পায়নি। এবং তৃতীয় ধাপের পেমেন্ট তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ২য় ও ৩য় ধাপ বাদ দিলেও আরও বৃহৎ সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী যার সংখ্যা প্রায় 1 লক্ষ ২৪ হাজার যারা কিনা এ-ই সুবিধার বাইরে থেকে যাবে।
সকল বিষয়ে একটা পরিস্কার ধারণা পাওয়া যাবে আগামী সপ্তাহে। বিশেষ করে ২য় ধাপের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনে টাকা ব্যাংকে আগামী সপ্তাহের রবি সোমবার নাগাদ ব্যাংকে জমা হবে বলে জানা গেছে।
তৃতীয় ধাপে যে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ছাড় দিবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাদের পেমেন্টে তালিকাও আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ প্রকাশ করবে বলে মাউশি সুত্রে জানা গেছে।
বাকি আরও যে সকল শিক্ষক কর্মচারী যারা ৩য় ধাপেও ইএফটির আওতাভুক্ত হবে না যাদের বড় ধরনের ভুল আছে বিশেষ করে নামের কোন অংশ বাদ আছে বা নামের বড় ধরনের বানানের সমস্যা আছে। যাদের জন্ম তারিখের ভুল আছে তাদের ব্যাপ্যারে মাউশি অতি দ্রুততর সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের নোটিশ প্রেরণ করবে।
আমার জানতে ইচ্ছা করে যে, শিক্ষক-কর্মচারী যারা নিয়মিত বেতন-ভাতাভোগী তাদের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কোন খাতে সরিয়ে নিয়ে এসব অযথা ভুলের কথা বলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বোকা বানানো হচেছ না তো? কারণ এখন সত্যিটা জানা খুবই কঠিন?
সমস্যা হল আমলাতান্ত্রিক সবকিছু আমলাদের ফ্যাজলামি ছাড়া আর কিছু নয়। আমলারা যদি আন্তরিক হয় তাহলে এ ধরনের সমস্যা দুর হতে এত সময় লাগার কথা নয়। হ্যাঁ ইএফটিতে প্রবেশ এর জন্য কিছু কিছু শিক্ষক কর্মচারীর কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে তা এত জটিলতা দেখা দিবে বিষয়টি এমন নয়।