পুরো জানুয়ারী মাসটা এমপিওভু্ক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে যেটা হচ্ছে তাকে আপনি বলতে পারেন জাস্ট জোকিং। সবাই ভেবেছিল বিগত সালগুলো যেভাবেই চলুক 2025 সাল হয়ত ভালভাবেই কাটবে আমাদের জন্য। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টা হতে চলেছে। এখন সমস্যা আরও উল্টা হতে চলেছে।
গত ০৫ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখ শিক্ষক দিবসে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ে সিদ্ধান্ত মোতোবেক, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ইএফটির মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারই ধারাবাহিকতা চলতি জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে ১ম ধাপে ১,৮৯,০০০ শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে তাদের বেতন নিজ নিজ একাউন্ট থেকে উত্তোলন করে। কিন্তু সকল শিক্ষক কর্মচারী বেতন একসাথে দেওয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে গত ১৯ তারিখে রোজ রবিবার আর ও ৬৭ হাজার এর কিছু বেশি সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারীর ২য় ধাপে বেতন প্রদানের জন্য পেমেন্ট তালিকা মাউশি প্রকাশ করে। মাউশি পেমেন্ট তালিকা প্রকাশ করলেও শিক্ষক কর্মচারীরা কিন্তু এখন তাদের বেতনের টাকা পায়নি। তাহলে এটাকে আপনি কি বলবেন বেতন দেওয়ার কথা বলে ব্যাংক একাউন্টে টাকা দিবেন না তাহলে তো সেটাকে Empty funds Transfer ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় কি?
এছাড়াও 1,24,000 শিক্ষক কর্মচারীর তো কোন খবরই নাই। তাদের তথ্য যাচাই বাছাই এর নমে যেটা করা হচ্ছে সেটা রীতিমতো হাস্যকর ব্যাপার। তাদের তথ্য সংশোধনের কাজ আজ শুরু হবে কাল শুর হবে বলে শুধু সময়ক্ষেপন করা হচ্ছে। তাহলে সেটাকে আপনি কি বলবেন। এভাবে যদি দিনের পর দিন চলতে থাকে তাহলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জীবনযাপন পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে একবার কি কেউ ভেবে দেখেছেন।
Leave a Reply