পৃথিবীর একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে কিনা শিক্ষকদের সাথে সকল সময় এদেশের আমলারা যাচ্ছেতাই আচরণ করে অথচ এদেশের কেউ তা নিয়ে কোন প্রতিবাদ করা তো দুরের কথা কোন একটি কথাও বলে না।
ইএমআইএস সেল দিনের পর দিন আমাদের মিথ্যা, প্রহসন মুলক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বলে যাচ্ছে, যে তথ্যগুলোর বিন্দু মাত্র সত্যতা নাই। তাহলে এটাকে তামাশা বলবেন না তো কি বলবেন। গত 01 তারিখ এর পর হতে শুধু বলতেছে যে, আগামী দুই একদিনের মধ্যে 2য় ধাপের 1 লক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন দেওয়া হবে। তারপরের সপ্তাহ বলল বেতনের ফাইল মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পড়ে আছে মন্ত্রাণালয়ের স্বাক্ষর হলে বেতন দেওয়া হবে। তারপর আবার কিছুদিন থেকে শোনা যাচ্ছে যে, তথ্য যাচাই বাছাই শেষ করতে পারে নি বিধায় বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। প্রথমে বলা হল 2য় ধাপে 1লক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন দেওয়া হবে এখন আবার শোনা যাচ্ছে 50-60 হাজার। আসলে তারা কি করবে, কি করতেছে তা পরিস্কার নয়। আবার বিভিন্ন তথ্যমতে যেটা জানা যাচ্ছে তা হল 2য় ধাপের বেতন না দেওয়ার পিছনে প্রধান সমস্যা হল অর্থনৈতিক।
আমাদের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছিল নভেম্বর এর শেষ সপ্তাহে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিকট তথ্য পাঠানোর শেষ তারিখ বলা ছিল ডিসেম্বর এর 5 তারিখ। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তথ্য মাউশির কাছে পাঠানোর শেষ তারিখ ছিল সম্ভবত ডিসেম্বর 10 তারিখ। তাহলে 10 তারিখ মাউশি কর্তৃপক্ষ তথ্য পাওয়ার পর যখন যাচাই বাছাই শুরু করল তখন থেকেই শিক্ষকের পাঠানো তথ্যের সাথে তাদের নিকট পাঠানো তথ্যের অমিল পেল তাইতে। তাহলে তারা যখনই অমিল পেল তখনই সেই শিক্ষককে নোটিশ করলেন না। তারা কেন এতদিন পর সেই কথা জানাচ্ছে। তারা যদি তখনই সেই তথ্য আমাদের জানাত তাহলে তো এতদিন আমরা আমাদের তথ্যগুলো সংশোধন করতে পারতাম বা অনেকাংশে সংশোধনের কাজ এগিয়ে নেওয়া যেত। তাহলে কি তারা আমাদের সাথে এতদিন ধরে তামাশা করছে তামাশার সেল থেকে দেখা যাক কি হয়? তারা ইচ্ছা করে আজকের এই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতনা কি?
মাউশির কাছে কিন্তু সকল শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য ছিলই তারা প্রতিবছর ইএমআইএস আপডেটের জন্য প্রতিটা প্রতিষ্টানের নিকট হতে সেখানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য সংগ্রহ করে। তারা কিন্তু ইচ্ছা করলেই সেখান থেকে প্রত্যেক শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাই বাছাই করতে পারত। তারপর যাচাই বাছাই করার পর যাদের তথ্যের অমিল ধরা পরত তাদের কে সংশোধনের কথা বলতে পারত এবং সংশোধনের জন্য কিছু সময় বেঁধে দিলে সেই সময়েরে মধ্যে সকল শিক্ষক কর্মচারী তাদের তথ্য সংশোধন করে পাঠাত। এভাবে সকল তথ্য কর্মচারীর তথ্য বর্তমান সময়ের চেয়ে দ্রুততম সময়ে সংশোধন হয়ে যেত তারপর যে সকল শিক্ষক কর্মচারী তথ্য পাঠাতে পারত না তাদের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। তারা তা না করে আজ কাল পরশু বলে শুধু সময়ক্ষেপন করছে আর শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে তামাশা করছেন।
মাউশি কর্তৃপক্ষ শিক্ষক কর্মচারীদের ডাটা যাচাই বাছাই করতে গিয়ে তো দেখলেন যে, একটা বড় সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারীর তথ্যের অমিল আছে তাহলে তাদের জন্য বিকল্প কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেটা ভাবা লাগত।
এখন যে সমস্যা নিয়ে বলা হচ্ছে তা তো আর 15 দিন আগেও যেখোনে ছিল আজকেও সেখানেই আছে কোন প্রকার কোন অগ্রগতি নাই। তাহলে আমরা কোথায় যাচ্ছি? আমরা কি ধারণা করব? আমরা কি এটা ভাবব না কেন যে আমাদেরকে আপনারা ইচ্ছা করে এই সমস্যার মধ্যে ফেলেছেন।
বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে মাউশি। ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮৯ হাজার 913 জন শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটিতে বেতন পেয়েছে। অবশিষ্ট শিক্ষকদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। এই যাচাই বাছাই আর শেষ হচ্ছে না। কোনদিন এটি শেষ হবে এটি শেষ হবে আর কোন দিন দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী বেতনের মেসেজ পাবেন। তা নিয়ে সংশয় আছে। প্রথমে বলা হল এক লাখ এখন আবার বলা হচ্ছে 50-60হাজার। কিন্তু প্রশ্ন হল কোনদিন সেই দিন? কোনদিন 2য় ধাপের বেতন আসবে? কোন দিন তৃতীয় ধাপের শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের তথ্যে সংশোধন করা শুরু করবে? কোন দিন তারা তাদের শ্রমের মজুরি পাবেন কেউ কি বলতে পারেন?
দয়া করে এই সকল তামাশা বন্ধ করুন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। একটু অভিভাবক সুলভ আচরণ করুন। আমাদের অধিকাংশ শিক্ষক কিন্তু দ্ররিদ্র তাদের একমাত্র আয়ের উৎস বলতে এই বেতন। দয়া করে তাদের এই ন্যর্য্য পাওনা নিয়ে তাদের সাথে আর তামাশা করবেন না।
Leave a Reply