1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি ভোগান্তি মাউশি কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদাসীনতাই দায়ী।

  • Update Time : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৮ Time View

ইএফটিতে যে সমস্যাগুলোর কারণে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন আটকে গেছে নিচে সে সমস্যাগুলো ও সে সমস্যাগুলো কি কারণে হয়েছে সেগুলো তুলো ধরা হল।

সমস্যা-1:ব্যাংক একাউন্টের তথ্য ভুল।

ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, শাখা কোড, ব্যাংক হিসাবের নাম অথ্যাৎ শিক্ষক কর্মচারীর নাম ইত্যাদি তথ্য ভুল থাকলে বেতন জমা হতে সমস্যা হতে পারে।

কারণঃ এই সমস্যাগুলো আজ নতুন তৈরি হয়েছে ব্যাংক একাউন্ট তো আর আজ নতুন তৈরি হয়নি। এই ব্যাংক একাউন্টেই তো বছরের পর বছর বেতন আসতেছে তখন তাহলে কি ভাবে বেতন এলো। তারপরও যদি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর নিকট যখন তা পাঠানো হল তখন তিনি কেন তা সনাক্ত করলেন না তিনি যদি সনাক্ত করতেন তাহলেতো আজ শিক্ষক কর্মচারীদের এই সমস্যাই পড়তে হতো না। তাহলে ভুল টা কার।

সমস্যা-2: এনআইডি নম্বরের সাথে ব্যাংক একাউন্টের নাম মিল না হওয়া।

জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের সাথে ব্যাংক একাউন্টের অমিল হলে ব্যাংকিং লেনদেন সমস্যা এটা সবাই জানে তাহলে এতদিন সমস্যাগুলো সম্পর্কে নোটিশ করা হল না কেন?

কারণঃ এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন তারা ঐ সময় অসাবধানতা বশত অনেক ভুল ত্রুটি করে রেখেছে যে সমস্যগুলো এখন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এখানেও আমদের কর্তৃপক্ষ তাদের দায় এড়াতে পারে। তারা এতদিন কেন নোটিশ করে নি যে আপনার এনআইডির সাথে ব্যাংক একাউন্টের অমিল আছে আপনি দ্রুত তা সংশোধন করুন না যে কোন সময় সমস্যায় পড়তে পারেন।

সমস্যা-3:এমপিও তথ্যে ভুল:

এমপিও তথ্য ভুল একটি অনেক বড় সমস্যা যেটা অবশ্যই কারও কাম্য নয়। এবং এ কারণে বেতনের সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক।

কারণঃ এমপিওভুক্তি কারা করেছে মাউশি তো করেছে নাকি তাহলে সে ভুল তো তারাই করেছে। তারা কি কখনো আমাদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য চেয়েছি তারা কি আমাদের বলেছে যে আপনারা আপনাদের তথ্য যাচাই পূর্বক তা সংশোধন করুন। আর বর্তমানে এমপিওভুক্তির যে প্রসেস সেখানে তো কয়েক ধাপে তথ্য যাচাই বাছাই করা হয়। তারপর ও যদি সেখানে ভুল থাকে তার জন্য কি শুধু শিক্ষক কর্মচারীরা দায়ী কর্তৃপক্ষ কি তাদের দায় এড়াতে পারে।

সমস্যা-4:শিক্ষকের নাম, পদবি, এমপিও নম্বর ভুল:

এই সকল তথ্যে কোন ভুল থাকলে বেতন জমা হতে সমস্যা হতে পারে।

কারণঃ এমপিওভুক্তির সময় এই তথ্যগুলি কারা লিপিবদ্ধ করে শিক্ষকরা করে না মাউশি কর্তৃপক্ষ করে। যদি তারা করে থাকে তাহলে তার খেসারত এখন আমরা কেন দিব।

সমস্যা-5: তালিকা তৈরির সময় ভুল :

প্রাথমিক তালিকা তৈরি প্রতিষ্ঠান থেকে করে পাঠানো হয় এটা ঠিক এবং সেখানে ভুল থাকলে সমস্যা হতেই পারে।

কারণঃ এই প্রাথমিক তালিকা যাচাই বাছাই কারা করেছে নিশ্চয়ই আমরা করিনি মাউশির লোকজন করেছে তারা যে ভুল গুলো সনাক্ত করেছে আমরা আবার সেগুলো ঠিক করে দিয়েছি। তারপরও যদি ভুল থাকে তাহলে তার দায়িত্ব আমরা কেন নিব।

সমস্যা-6:বেতন তালিকা তৈরির সময় করার সময় ভুল তথ্য তালিকা ভুক্ত হওয়া:

ভুল তথ্য তালিকাভুক্ত হলে তা অবশ্যই বড় একটি সমস্যা এবং তার কারণে বড়  ধরনের বিড়ম্বনা হতে পারে।

কারণঃ এই তালিকা কারা করেছে আমরা শিক্ষক কর্মচারীরা করেছি না আমাদের কর্তৃপক্ষ করেছে অবশ্যই আমরা করিনি। তাহলে আমরা কেন এর খেসারত দিব।

সমস্যা-7:ব্যাংকের ত্রুটি:

ব্যাংকের ত্রুটি একটি সমস্যা এর কারণে বেতন জমায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।

কারণঃ ব্যাংক যদি সমস্যা করে থাকে তাহলে আমরা সেটা কিভাবে জানব। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তো আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তালিকা প্রণয়ন করেনি।

সমস্যা-8:প্রশাসনিক জটিলতা:

এই সমস্যাটাই অনেক বড় জটিলতা এবং এর কারণেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কারণঃ বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক গুলো প্রশাসন জড়িত তাদের খামখেয়ালী মনোভাব, তাদের অহংবোধ যে আমরা যে ভাবে বেতন পাই এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরাও আমাদের মত করে কেন বেতন পাবে। তাদের অলসতা, তাদের ঢিলেমি অন্যতম প্রধান কারণ হলেও হতে পারে।

এখন আমাদের করণীয়:

1) প্রথমে নিজের তথ্য যাচাই করা: নিজের ব্যাংক একাউন্টের তথ্য, এমপিও তথ্য সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা।

2)শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ: সমস্যার বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সহায়তা চাওয়া এবং সেই মতো পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা।

3) বেতন প্রদান সম্পর্কিত সরকারি অফিসে যোগাযোগ: প্রয়োজনে বেতন প্রদান সম্পর্কিত সরকারি অফিসে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা। কারণ ভুক্তভোগী আমরা।

সর্বশেষ যে কথাটি বলতে চাই তা হলো এই যে, যাদের বেতন ২য় ধাপে আসবে না তাদের কিছু ভোগান্তি পোহাতে হবে। কারণ উপরে যে সমস্যাগুলা নিয়ে আলোচনা করলাম এ বাদেও আর অনেক সমস্যার কারণে বেতন বন্ধ থাকতে পারে। যে সমস্যার কারণে আপনার বেতন বন্ধ থাক না কেন এ সমস্যাগুলো একদিনে শেষ হবে না এবং খুব দ্রুত করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি সদয় দৃষ্টি দিয়ে বিষয়গুলো বিবেচনা সাপেক্ষে বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদেরকে ভুল তথ্যগুলো সংশোধনের সুযোগ দেয় তাহলেই অনেক বড় সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নতুবা অনেক ভোগান্তি আছে আমাদের কপালে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme