1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাওয়া শোনার মত কি কেউ নাই?

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৯ Time View

এমপিওভুক্ত (মান্থলি পে অর্ডার) শিক্ষকদের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যা ও বঞ্চনা নিয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বেসরকারি শিক্ষকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাদের কর্মপরিস্থিতি ও সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমস্যাগুলো বিশদভাবে আলোচনা করা হলো—


১. বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধার সীমাবদ্ধতা

  • কম বেতন: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় অনেক কম। এই বেতনে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
  • উৎসব ভাতা: সরকারি চাকরিজীবীরা বছরে দুইবার পূর্ণ উৎসব ভাতা পেলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা অর্ধেক উৎসব ভাতা পান।
  • বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা: সরকারি চাকরিজীবীদের মতো চিকিৎসা ভাতা, বাড়ি ভাড়া, পরিবহন ভাতা প্রভৃতি কোনো সুযোগ-সুবিধা এই শিক্ষকদের নেই।

২. ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতির জটিলতা

  • নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট (বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি) পাওয়া নিয়েও অনেক জটিলতা থাকে। সময়মতো ইনক্রিমেন্ট না পাওয়ার কারণে শিক্ষকরা হতাশ হয়ে পড়েন।
  • পদোন্নতির সুযোগ: বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে পদোন্নতি প্রায় নেই বললেই চলে। দীর্ঘদিন একই পদে থেকে কাজ করতে হয়, যা তাদের পেশাগত উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।

৩. অবসর ও কল্যাণ সুবিধার অভাব

  • অবসর ভাতা: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসর ভাতার ব্যবস্থা থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো এই ভাতা প্রদান করা হয় না, যা অবসরকালীন সময়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
  • কল্যাণ তহবিল: শিক্ষক কল্যাণ তহবিলের কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং সমৃদ্ধ হওয়া উচিত, যাতে শিক্ষকরা তাদের প্রয়োজনের সময় আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।

৪. চাকরির নিরাপত্তাহীনতা

  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাকরির ক্ষেত্রে অনেক সময় নিরাপত্তা থাকে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির কিছু সিদ্ধান্ত বা ব্যক্তিগত মতবিরোধের কারণে তাদের চাকরি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

৫. সামাজিক ও মানসিক চাপ

  • সমাজের অবমূল্যায়ন: বেসরকারি শিক্ষকদের সমাজে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয় না। কম বেতন এবং সুযোগ-সুবিধার অভাব তাদের পেশার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে।
  • চাকরির চাপ: অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাজের চাপ যেমন—প্রাইভেট টিউশন বন্ধে নীতিমালা বা নানা বিধিনিষেধ শিক্ষকদের আয় সীমিত করে ফেলেছে।

৬. শিক্ষার মান উন্নয়নে বাধা

বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা না থাকলে শিক্ষকদের মধ্যে পেশাদারিত্ব ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষাদানের মানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


প্রস্তাবনা ও সমাধান

১. সরকারি শিক্ষকদের সমপরিমাণ বেতন ও ভাতা: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কাঠামোকে সরকারি শিক্ষকদের সমান করতে হবে।
২. উৎসব ভাতা ও অন্যান্য ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি: উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা চালু করা প্রয়োজন।
৩. নিয়মিত পদোন্নতি ও ইনক্রিমেন্ট ব্যবস্থা: বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট এবং পদোন্নতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. অবসর ও কল্যাণ সুবিধার উন্নতি: অবসরকালীন ভাতা দ্রুত পরিশোধ এবং কল্যাণ তহবিল আরও শক্তিশালী করা দরকার।
৫. চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: চাকরি নিরাপত্তার জন্য একটি শক্তিশালী নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
৬. সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি: শিক্ষকদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সরকারকে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালাতে হবে।


উপসংহার

শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। তাদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা যদি দুর্বল থাকে, তাহলে শিক্ষার মান উন্নত করা সম্ভব নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং শিক্ষকরা তাদের মর্যাদা ও সম্মান ফিরে পাবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme