মাউশি অঙ্গীকার করে, অঙ্গিকার না রাখার জন্য। এ যেন চিরচারিত রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে মাউশির জন্য এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে। প্রতিমাসেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দেরীতে প্রদান করে দুঃখ প্রকাশ করে মাউশি থেকে মিডিয়ার সামনে বলা হবে যে, আগামী মাস থেকে আর এ ধরনের জটিলতা হবে না। আগামী মাস হতে আমরা যথারীতি দ্রুততর সময়ের মধ্যে বেতন প্রদানের কার্যক্রম শুরু করব। কিন্তু মাস শেষে হলে যে লাউ, সেই কদু।
বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে যা তা হলো এপ্রিলের বেতন যদি ১৫তারিখ বা তার পরে শিক্ষক কর্মচারীদের প্রদান করা হয় তাহলে পরবর্তী মাসের বেতন ও ঈদুল আযহার বেতন প্রদান করতে করতে তো সেই গত ঈদের পুনরাবৃত্তি আবার ঘটবে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। কারণ হিসাবে মাউশির তৈরিকৃত যথেষ্ট কারণ রয়েছে। যে কারণ গুলো প্রযোজ্য শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রদানের বেলায় প্রযোজ্য।
আগামীকাল বা পরশুও যদি মাউশি বেতন প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে তারপরেও বিভিন্ন কার্যক্রম শেষে শিক্ষক কর্মচারীর ব্যাংক একাউন্টে পৌছাতে পৌছাতে প্রায় ১৫ তারিখ হয়ে যাবে। আর যদি আবার নতুন নাটক শুরু করে তাহলে তো কথাই নাই।
এই ঈদেও যদি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ ঠিক সময় মতো বেতন ও উৎসব ভাতা না পায় তাহলে কিভাবে কোরবানীর পশু ক্রয় করবে। কোরবানির পশু তো আর রাতে বা ধার করা টাকা দিয়ে বা বাঁকিতে ক্রয় করা যায় না। আগামী মাসের ৬ অথবা ৭ তারিখে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা যদি তা চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।
তবে আমি অগ্রিম একটা কথা বলে রাখলাম হয়ত আমার এই পেডিকশন দেখে অনেকে হয়ত মনে মনে আমাকে গালি দিবেন কিন্তু আমার ধারণা থেকে বলছি আগামী ঈদের বেতন বোনাস নিয়ে আবারও অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ ঈদুল আযহার বোনাস বৃদ্ধির একটা ব্যাপার রয়েছে কিন্তু তার প্রজ্ঞাপন এখন অবধি জারি হয়নি। আমি নিশ্চিত মাউশি ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে ঢিলেমি করবে যেন বেতন ও উৎসব প্রদানে জটিলতা তৈরি করা যায়।
পরিশেষে যে কথা বলতে চাই তা হলো এই, আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক আমরাও মানুষ আমাদেরও দেহ কিন্তু রক্ত মাংসের সংমিশ্রণে তৈরি। অতিরিক্ত বঞ্চনার কারণে কিন্তু মানুষের মনের মাঝে বিদ্রোহের বীজ দানা বাঁধে। আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত। সাধারণ মানুষ যখন অসাধারণ হয়ে উঠে তাহলে কিন্তু সেই বিদ্রোহ থেকে রক্ষা পাওয়া মুশকিল।
Leave a Reply