এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের আজীবনের সমস্যা হলো বেতন প্রদানের নিয়ম নীতি। যা চলে আসছে বিগত ৫৪ বছর ধরে। যা নিরসনের জন্য বর্তমান সরকার উদ্যেগ গ্রহণ করে। তার ফল স্বরূপ এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যয় ইএফটিতে প্রেরণে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যা কিনা সরকারী আমলা তন্ত্র ভালভাবে গ্রহণে করেনি। আমলাদের ভালভাবে গ্রহণ না করার কারণে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটিতে বেতন প্রদান কার্যক্রমে স্থবিরতা বা বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। সেই জটিলতা যে শুধু প্রক্রিয়াগত তা কিন্তু ভাবার কোন কারণ নেই।
আরও পড়ুন…উৎসব যেন আজীবনের অভিশাপ
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের ছাড় করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), মাদ্রাসা ও কারিগরি এই তিনটি অধিদপ্তর। তিনটি দপ্তরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষক-কর্মচারী স্কুল কলেজে, ৩ লাখ ৯৮ হাজার ১৩২ জন। তাদের মার্চ মাসের বেতন এখন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মাউশি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আর মাদ্রাসা ও কারিগরি অধিদপ্তর ২৩ মার্চের মধ্যে বেতন-ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সেটি সম্ভব নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন…এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারীর বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে।
শিক্ষা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকরা। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চলতি মাসের বেতন সাতদিন আগে দেওয়ার সরকারের দারুণ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে আমরা চরম ক্ষুব্ধ। এটা চরম বৈষম্য। একজন সরকারি কর্মচারী ঈদ করবেন আর বেসরকারি শিক্ষকরা কি ঈদ করবেন না? তাদের কি পরিবার নেই?
আরও পড়ুন..এমপিওভুক্ত ১ম-৫ম ধাপের সকলের বেতন একসাথে।
তিনি বলেন, এমনিতেই পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস পান না শিক্ষকরা। এর সঙ্গে দুই মাসের বেতন বকেয়া হয়ে গেছে। এই অবস্থায় একজন শিক্ষক কীভাবে ঈদ করবেন?এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের এ জটিলতার বিষয়টি মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার নজরে আসলে তিনি গত ১৯/০৩/২৫ ইং তারিখে সচিবালয়ে মাউশির সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিংয়ে পরিস্কার নির্দেশনা প্রদান করেন যে, যে কোন উপায়ে, যে কোন ভাবে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বোনাস ঈদের আগে প্রদান করতে হবে। তার ব্যতয় কোন ভাবে ঘটানো যাবে না।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের এ জটিলতার বিষয়টি মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার নজরে আসলে তিনি গত ১৯/০৩/২৫ ইং তারিখে সচিবালয়ে মাউশির সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিংয়ে পরিস্কার নির্দেশনা প্রদান করেন যে, যে কোন উপায়ে, যে কোন ভাবে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বোনাস ঈদের আগে প্রদান করতে হবে। তার ব্যতয় কোন ভাবে ঘটানো যাবে না।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, ইএফটিতে বেতন দেওয়ার কারণে কিছু জটিলতা তৈরি হয়। সে কারণে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বেতন দিতে কিছু সমস্যা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদের আগে মার্চ মাসের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে ঈদ বোনাস ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন খুব শিগগিরই ছাড় করা হবে।
মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার এই নির্দেশনার পর বেতন প্রদানের গতি ফিরে পেয়েছে যার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা।
Leave a Reply