বৈষম্য এদেশের সরকার ব্যবস্থা ও এদেশের সরকারের আমলার লালন পালন করে। বৈষম্য এদেশের রন্ধে রন্ধে জমে আছে। বৈষম্য আমাদের দেশের যারা আমলা তাদের অন্তরের অন্তরস্থলের মধ্যে সযত্নে রক্ষিত আছে যা তারা আজীবন ধরে লালন করবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাদের এ ঔদ্ধত্য বিনাশ করার মত মানসিক ও মনস্তাত্বিক দক্ষতা আমাদের সরকারের মধ্যে অনুপস্থিত।
পরম দুংখের বিষয় হল এই যে, সকল পেশার সকল মানুষের বৈষম্যের ভাগ্য ধীরে ধীরে পরিবর্তনের দিকে ধাবিত হয়। হয়না কেবল এমপিওভু্ক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ভাগ্যেন্নোয়ন। এদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বৈষম্য খাতা দিন দিন কেবল বাড়ছে আর বাড়ছে। জানিনা এ দেয়াল কোন দিন ভাঙবে।
সরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে এদেশের সরকারের ঈদ ভাবনা
বিষয়ঃ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী (গেজেটেড-নন-গেজেটেড), সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড/নন-কমিশন্ড অফিসারগণের মার্চ/২০২৫ মাসের বেতন ভাতাদি এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনারগণের মার্চ/২০২৫ মাসের অবসর ভাতা ২৩ মার্চ/২০২৫ তারিখে প্রদান।
উপর্যুক্ত বিষয়ে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, সরকারি বর্ষপঞ্জি-২০২৫ অনুযায়ী ৩১ মার্চ তারিখে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে বিধায় সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী (গেজেটেড-নন-গেজেটেড), সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড/নন-কমিশন্ড অফিসারগণের মার্চ/২০২৫ মাসের বেতন ভাতাদি এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনারগণের মার্চ/২০২৫ মাসের অবসর ভাতা ২৩ মার্চ/২০২৫ তারিখে প্রদান করা হবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে এদেশের সরকারের ঈদ ভাবনা
শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতনের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের বোনাসের অর্থ পাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাউশির প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গেই ঈদের বোনাস পাবেন। সেভাবেই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। যা হয়ত আগামী ২০ তারিখের পর দেওয়া হতে পারে। যদি কোন সমস্যা না হয়। যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আরও ২ থেকে তিনদিন বেশি সময় লাগতে পারে।
সরকারি-কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতন চলতি মাসেই পাবেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মার্চ মাসের বেতন কবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রশাসন ও ক্রয় উইংয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্চ মাসের বেতন চলতি মাসে হবে না। এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতন এপ্রিলে পাবেন।
তাহলে আমরা কি এদেশের কেউ না, আমরা কি এদেশের কোন কাজে আসি না। আমাদের দ্বারা এ রাষ্ট্রের কোন উপকারমুলক কার্যক্রম হয় না। আমারা কি এ রাষ্টের দ্বায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তা কর্মচারী না। যদি আমরা এ দেশের বসবাসরত পেশাজীবি হই, যদি আমরা এ দেশের সেবায় নিয়োজিত নাগরিক হয়ে থাকি তাহলে কেন আমাদের সাথে এ রকম বিমাতাসুলভ আচরণ, কেন আমাদের সাথে এরকম প্রতিশোধপরায়ন আচরণ। কোথায় আমাদের বৈষম্য নিরসনকারী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহম্মদ ইউনুস, কোথায় আমাদের ফ্যাসিবাদি বিনাশের অগ্রনায়কেরা। আজ এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী সমাজ আপনাদের বিবেকের নিকট প্রশ্ন করছে উত্তর দিন। আমরা আপনাদের ন্যার্য উত্তরের প্রতিক্ষায় অপক্ষারত।
হায়রে পৃথিবী
[…] শিক্ষকদের বেতন নিয়ে যা জানালো মাউশি। সরকারী শিক্ষক কর্মচারী বনাম এমপিওভুক… এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারির […]