বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক-কর্মচারীদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতা ৪ ধাপে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক কর্মচারীদের দিয়েছে সরকার। ৫ম ধাপে ১২ হাজার জন শিক্ষক কর্মচারী বেতন পাবে সামনে সপ্তাহে।
এরপর শুরু হবে ১ম থেকে ৫ম সকল ধাপের শিক্ষক কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারীর বেতন ও বোনা সের বিষয়ে চিন্তাভাবনা তবে আশার কথা এ-ই যে বেতন ও বোনাস ঈদের আগেই পাওয়া যাবে বলে মাউশি নিশ্চিত করেছে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে সুখবর দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। চলতি মাসের মধ্যে বেতন ও ঈদুল ফিতরের বোনাস পাবেন তারা।
রোববার (৯ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন এবং অর্থ ও ক্রয় উইংয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এরকম তথ্য তো অনেকবারই জানানো হচ্ছে কিন্তু বাস্তবায়নে সমস্যা তো ব্যাপক।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে সংস্থাটির অর্থ ও ক্রয় উইংয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আগামী ২০ মার্চের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগেও তারা বেতন পেতে পারেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসহ অন্যান্য বিষয়ে জটিলতা তৈরি হলে বেতন পেতে আরও দুই/তিনদিন সময় লাগতে পারে।’
শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতনের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের বোনাসের অর্থ পাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গেই ঈদের বোনাস পাবেন। সেভাবেই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
সরকারি-কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতন চলতি মাসেই পাবেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মার্চ মাসের বেতন কবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রশাসন ও ক্রয় উইংয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্চ মাসের বেতন চলতি মাসে হবে না। এটা মোটামুটি নিশ্চিত। শিক্ষক-কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতন এপ্রিলে পাবেন।
এখানেই আসলে সমস্যা কার মাউশির না সরকারের যে সরকারি চাকুজীবিরা যেখানে মার্চের বেতন পাবেন সেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারিদের বেলায় এরকম দ্বিনবতি কেন? এ-র পক্ষে কি যুক্তি হতে পারে। এটা কোন ধরনের বৈষম্য!
Leave a Reply