এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি কর্মচারীদের মতো একই হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবিতে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। দুপুরে তারা ফের সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষকরা বলছেন, আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন না আসলে ঈদুল ফিতরের নামাজ যমুনায় হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার শিক্ষকরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে তাতে বাধা দেয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে ফের প্রেস ক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেন। শিক্ষকরা বলছেন, দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরবেন না। যতক্ষন দাবী না আদায় হবে ততক্ষণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষকরা বলেছেন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। মুখের কথায় আমরা আর আশ্বস্ত হতে চাই না। অতীতের মুখের আশ্বাসের অভিজ্ঞতার কথা নিশ্চয়ই কারও অজানা নয়।
গত ১২ তারিখে হতে শিক্ষক কর্মচারীরা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে ঘোষিত এই কর্মসুচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষক কর্মচারীরা প্রেসক্লাবে অবস্থান করছে।
এর মাঝে বেশ কয়েক বার আলোচনা জন্য ডেকে আলোচনা হয়েছে তবে ফলপ্রসু কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। আজ আবার জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ৬ নেতাকে আলোচনার জন্য ডেকেছে যে সকল শিক্ষক আলোচনা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেছেন তারা হলেন প্রতিনিধিদলে রয়েছেন, অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজী, প্রকৌশলী আবুল বাশার, জহিরুল ইসলাম, আব্দুল হাই সিদ্দিকী, আফরোজা শ্রাবন, মিজানুর রহমান মাহিন।
দেখা যাক আজ কোন ফলপ্রসু সিদ্ধান্ত আসে কিনা। সরকার যদি সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না জানায় তাহলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এটা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পূর্বের সিদ্ধান্ত। প্রয়োজনে ঈদুল ফিতরের নামায প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আদায় করা হবে।
Leave a Reply