ইএফটি বাস্তবায়ন: প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও এমপিও শিক্ষকদের পার্থক্যপূর্ণ বেতন প্রদান প্রক্রিয়া।
Update Time :
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫
৩২০
Time View
বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) ব্যবস্থাটি মূলত বেতন ও ভাতা পরিশোধের একটি আধুনিক, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষকরা সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বেতন ও ভাতা পান, যা আগে বিভিন্ন ধাপের জটিলতা ও বিলম্বের কারণে সময়সাপেক্ষ ছিল। নিচে EFT পরিচালনার ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের EFT পরিচালনার ধাপসমূহ
১. ডাটা সংগ্রহ ও সংরক্ষণঃ
শিক্ষক নিয়োগের পর ডেপুটেশন, পোস্টিং, ব্যাংক হিসাব, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য ডিজিটালভাবে পেইরোল সফটওয়্যার-এ সংরক্ষণ করা হয়।
প্রতিটি শিক্ষককে একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হয়, যা মাধ্যমে তথ্য সঠিকভাবে মিলিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
২. বেতন নির্ধারণ ও বিল প্রস্তুতঃ
শিক্ষক বা কর্মচারীদের পদ অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রতি মাসে বেতন বিল প্রস্তুত করা হয়।
এই বিল সংশ্লিষ্ট উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে (Upazila Accounts Office) প্রেরণ করা হয়।
৩. বিল অনুমোদন ও চেকঃ
উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সফটওয়্যারে বিল ভেরিফাই করে তা অনুমোদন দেন।
সফটওয়্যারটি National Pay-roll System (NPS) বা iBAS++ এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যার মাধ্যমে বিল অটোমেটিক চেক হয়।
৪. ইএফটি প্রক্রিয়া শুরুঃ
বিল চূড়ান্ত হওয়ার পর iBAS++ (Integrated Budget and Accounting System) এর মাধ্যমে EFT চালু হয়।
অর্থ বিভাগ (Finance Division) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এই ট্রান্সফার ব্যবস্থাটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করে।
৫. শিক্ষকদের একাউন্টে অর্থ জমাঃ
নির্ধারিত তারিখে প্রতিটি শিক্ষকের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি বেতন ট্রান্সফার হয়ে যায়।
কোনো ধরনের চেক ইস্যু, ব্যাংকে লাইনে দাঁড়ানো বা মাঝখানে তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই।
৬. SMS ও ডিজিটাল রসিদঃ
অনেক ক্ষেত্রেই বেতন ঢোকার সাথে সাথে শিক্ষকরা SMS-এর মাধ্যমে নোটিফিকেশন পান।
প্রয়োজন হলে ডিজিটাল পে-স্লিপ বা রসিদ প্রিন্ট করে ব্যবহার করা যায়।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ইএফটি যেভাবে পরিচালিত হয়ঃ
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ইএফটি (EFT – Electronic Fund Transfer) পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা প্রদান প্রক্রিয়া মূলত আইবাস++ (iBAS++) এবং ব্যাংকিং চ্যানেল এর সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। এখানে পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো:
১. iBAS++-এ প্রোফাইল তৈরি ও আপডেটঃ
প্রত্যেক শিক্ষক/কর্মচারীর জন্য ব্যক্তিগত প্রোফাইল আইবাস++ সিস্টেমে থাকতে হয়।
এই প্রোফাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র, পদবি, কর্মস্থলের নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
প্রোফাইল তৈরি ও যাচাইয়ের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার (DAO – District Accounts Office)।
২. পে-রোল (বেতন তালিকা) প্রস্তুতকরণঃ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মাস শেষে উপস্থিতির ভিত্তিতে বেতন বিল প্রস্তুত করে।
এই বিল iBAS++ এ এন্ট্রি হয়, এবং পরবর্তীতে জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় যাচাই করে।
যাচাই শেষে বিল অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগে পাঠানো হয় (যেমন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর)।
৩. অনুমোদন ও ইএফটির মাধ্যমে অর্থ ছাড়ঃ
বিল অনুমোদনের পর অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যাংকে ইএফটি পদ্ধতিতে ট্রান্সফার হয়।
এই টাকা সরকারের কোষাগার থেকে সরাসরি শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
এতে তৃতীয় পক্ষ বা মধ্যবর্তী স্তর নেই—যা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
৪. SMS ও ব্যাংক যাচাইঃ
শিক্ষক/কর্মচারীরা বেতন জমা হলে SMS পান।
তারপর নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারেন।
কেউ চাইলে মোবাইল অ্যাপ বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করেও তথ্য যাচাই করতে পারেন।
৫. ব্যতিক্রম ও সমস্যা সমাধানঃ
কিছু সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:
ভুল ব্যাংক তথ্য (IFSC code বা অ্যাকাউন্ট নম্বর)
প্রোফাইল অসম্পূর্ণ
বিল দেরিতে পাঠানো
এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং DAO অফিস থেকে তথ্য হালনাগাদ করে পুনরায় প্রক্রিয়াটি চালু করতে হয়।
নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানঃ
পুরো EFT প্রক্রিয়াটি তদারকি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (CGA)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস সমন্বিতভাবে বিষয়টি দেখে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে ইএফটিঃ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ইএফটি (EFT – Electronic Fund Transfer) প্রক্রিয়া সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে তাদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বেতন ও ভাতা পাঠানোর একটি আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতি। এটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতোই মূলত iBAS++ সফটওয়্যার এবং CGA (Controller General of Accounts) এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। নিচে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো:
ধাপে ধাপে এমপিও শিক্ষকদের ইএফটি পরিচালনা প্রক্রিয়া
১. শিক্ষক-কর্মচারীর প্রোফাইল প্রস্তুত ও হালনাগাদঃ
প্রতিটি এমপিওভুক্ত শিক্ষক/কর্মচারীর জন্য EMIS (Education Management Information System) ও iBAS++-এ পৃথক প্রোফাইল তৈরি করা হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র, কর্মস্থলের নাম, নিয়োগপত্র, ব্যাংক হিসাব নম্বর, চাকরির ধরন ইত্যাদি তথ্য সেখানে আপলোড করতে হয়।
এই তথ্য প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা (উপজেলা ও মাউশি) অফিসার যাচাই করেন।
২. বেতন প্রস্তাব তৈরি ও পাঠানোঃ
মাস শেষে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বেতন দাবি (Pay Proposal) তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। এই চাহিদা প্রদান যদিও এখনও শুরু হয়নি তবে এভাবেই হবে।
প্রস্তাবে উপস্থিতি, ছুটি, নতুন নিয়োগ, ইনক্রিমেন্ট ইত্যাদির তথ্য থাকে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে মাউশির মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
৩. শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন ও অর্থ ছাড়ের নির্দেশ
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে CGA (হিসাব মহা হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়)-এ যায়।
CGA অফিস iBAS++ সিস্টেমে EFT Batch জেনারেট করে, যেখানে সব শিক্ষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ভিত্তিতে পেমেন্ট ফাইল তৈরি হয়।
৪. ব্যাংকে ইএফটির মাধ্যমে অর্থ প্রেরণঃ
সরকারি কোষাগার থেকে EFT পদ্ধতিতে টাকা সরাসরি শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
এতে কোনো মধ্যবর্তী ব্যাংকিং জটিলতা থাকে না। টাকা সরাসরি চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে পৌঁছে যায় (যেমন: সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী)।
৫. বেতন পাওয়ার নিশ্চিতকরণ
শিক্ষক-কর্মচারীরা মোবাইল SMS অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের বেতন প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পান।
কেউ চাইলে মোবাইল অ্যাপ বা অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করে নিজের হিসাব চেক করতে পারেন।
উপরে আমাদের দেশে তথা বাংলাদেশে তিন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিভাবে ইএফটি পরিচালিত হয় তা দেখলাম। দেখার পর নিশ্চয়ই আমরা কিছু পার্থক্য বুঝতে পেরেছি। সেগুলো নিচে আলোচনা করা যাক।
বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—এই তিন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT) পদ্ধতি চালু থাকলেও, এর কার্যপ্রবাহ, তদারকি, এবং বাস্তবায়নের ধরন কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন। নিচে মূল পার্থক্যগুলো সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করা হলোঃ
১. বেতন উৎস ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাঃ
বিষয়
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান
অর্থের উৎস
সম্পূর্ণ সরকার
সম্পূর্ণ সরকার
শুধু মাত্র মুল বেতনের ১০০% সরকার, বাকি অন্যান্য ভাতাগুলো সরকার খন্ডিত আকারে প্রদান করে বা করে না।
নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DPE)
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (DSHE)
DSHE/টেকনিক্যাল বোর্ড + শিক্ষা মন্ত্রণালয়
বাজেট অনুমোদন
DPE ➝ অর্থ মন্ত্রণালয় ➝ CGA
DSHE ➝ অর্থ মন্ত্রণালয় ➝ CGA
DSHE ➝ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ➝ অর্থ মন্ত্রণালয় ➝ CGA
২. বেতন বিল প্রস্তুতি ও অনুমোদনের ধরণঃ
বিষয়
সরকারী প্রাথমিক
সরকারী মাধ্যমিক
এমপিওভুক্ত
বিল প্রস্তুত করেন
বিদ্যালয় প্রধান
বিদ্যালয় প্রধান
প্রতিষ্ঠান প্রধান ও মাউশি (MPO সফটওয়্যার/ফরম)
বিল যাচাই
উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস (UAO)
জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস (DAO)
উপজেলা/জেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশি(বর্তমানে মাউশি)
প্রস্তাবের ধাপ
একধাপে
একধাপে
ধাপে ধাপে (ধাপ ১, ২, ৩…)
বিল অনুমোদন
সরাসরি EFT
EFT
ধাপ অনুমোদন সাপেক্ষে EFT
৩. iBAS++ সিস্টেমে সংযুক্তি ও প্রযুক্তি ব্যবহারঃ
বিষয়
সরকারী প্রাথমিক
সরকারী মাধ্যমিক
এমপিওভুক্ত
iBAS++ ব্যবহার
হ্যাঁ (সম্পূর্ণ)
হ্যাঁ (সম্পূর্ণ)
আংশিক (ধাপে ধাপে অন্তর্ভুক্তি)
প্রোফাইল আপডেট
বিদ্যালয় থেকে সরাসরি
বিদ্যালয় থেকে সরাসরি
অনেক সময় অফিসে গিয়ে, অথবা ধাপে যুক্ত হয়ে
৪. বেতন প্রদানের সময়সীমা ও নির্ভরতাঃ
বিষয়
সরকারী প্রাথমিক
সরকারী মাধ্যমিক
এমপিওভুক্ত
সময়মতো বেতন
সাধারণত মাসের প্রথম সপ্তাহে
মাসের প্রথম সপ্তাহে
ধাপ অনুমোদনের ওপর নির্ভর করে
জটিলতা
তুলনামূলক কম
তুলনামূলক কম
বেশি (ধাপ, তথ্য ভুল, দেরি)
ব্যাংকে সরাসরি জমা
EFT মাধ্যমে
EFT মাধ্যমে
EFT (তবে পূর্বে Analog ছিল)
৫. প্রকৃত বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ
বিষয়
সরকারী প্রাথমিক
সরকারী মাধ্যমিক
এমপিওভুক্ত
চ্যালেঞ্জ
মাঝে মাঝে ডাটা আপডেট সমস্যা
কম
তথ্য অসম্পূর্ণতা, ধাপ বিলম্ব, প্রোফাইল ত্রুটি
তদারকি
প্রশাসনিকভাবে নিয়মিত
প্রশাসনিকভাবে নিয়মিত
পর্যায়ক্রমে উন্নয়নাধীন
সারাংশ:
সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুরোপুরি ডিজিটাল iBAS++ ও EFT ব্যবস্থায় চলে।
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান ধাপে ধাপে EFT-তে রূপান্তরিত হচ্ছে, এখনো পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় হয়নি।
এমপিও প্রক্রিয়ায় ধাপভিত্তিক অনুমোদন, প্রোফাইল সংশোধন এবং বিলম্ব একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
পরিশেষে যে কথা বলব তা হলো আমরা কি এ ধরনের নিয়ন্ত্রিত ইএফটি চেয়েছিলাম। এ ধরনের ইএফটি প্রযুক্তি কি আমাদের বেতন প্রদানের আজীবনের সমস্যার তেমন কোন সমাধান করতে পারবে। আমরা তো আশা করেছিলাম প্র্রকৃতপক্ষে ইএফটি কিন্তু বিনিময়ে যে ইএফটি আমাদের জন্য বাস্তবায়ন হতে যাচেছ তাতে করে পূর্বের ব্যবস্থার সাথে বর্তমান ব্যবস্থার খুব বেশি পার্থক্য কি আমরা দেখছি? আমার তো মনে হয় না। আপনার মতামত জানাবেন দয়া করে। আমার সাথে একমত হলেও জানাবেন দ্বিমত হলে তাও জানাবেন।
Leave a Reply