পৃথিবীটা বুঝ এমনই কখনও কখনও আপনি অনেক কিছু দেখবেন কিন্তু কিছু বলার মতো ইচ্ছা করবেনা বা আপনার রুচিবোধ করবে না অথবা আপনি সাহস পাবেন না।
তবে এ ব্যাপারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। জেনেই বা লাভ কি কারণ সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীদের মতামতের কোন প্রাধান্য আমাদের আমলাদের কাছে কোনদিন নাই। বাকি রইল শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের বিষয় তাদের তো একমাত্র কাজ হলো নিজেদের জাহির করা তাতে সাধারণ শিক্ষকদের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হলো সেই চিন্তা তাদেরও নাই। কেউ ব্যস্ত সেলফি তুলতে, কেউ ফেসবুকে লাইভ নিয়ে ব্যস্ত, কেউবা ব্যস্ত দলীয় লেজুরবৃত্তি করতে যাতে দলীয় সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীদের ভাগ্য নিয়ে কথা বলার বা দর কষাকষি করার মত যোগ্য, নির্ভীক নেতা আমাদের নেই। যার হাত ধরে আমাদের এই পেশার বৈষম্যের মুক্তি ঘটতে পারে।
বলতে দ্বিধা নেই যে, যদিও এটা আমাার ব্যাক্তিগত মতামত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজকের এই প্রাপ্তি কিন্তু কোন সংগঠনের কোন কর্মসুচীর কারণে এসেছে বলে মনে হয় না। যে যেভাবেই নিজেদের জাহির করুক না কেন। আপনি যদি বিবেকবান শিক্ষক হোন তাহলে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বাজেট-১) মোহাম্মদ ফারুক-উজ-জামান ২৩ এপ্রিল জানান, প্রস্তাবটি পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট উইং কাজ করছে। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের উৎসব ভাতা কতটুকু বাড়ানো হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”
বর্তমানে শিক্ষকরা বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। এই হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়ার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ৫ মার্চ বলেন, “কয়েকমাস আগেই আমি সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিলাম, সাধ্যমত এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটে যতটুকু অর্থ সংকুলন করা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমরা যতদূর পারি চেষ্টা করব দাবিগুলো মেটাতে।” তিনি আরও বলেন, “কিন্তু, ১৫/২০ বছরের বঞ্চনা ১/২ বছরের বাজেট দিয়ে তো মেটানো যায় না।”
এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ঈদুল আজহা থেকে শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের উপর নির্ভর করবে।
তবে এ ব্যাপারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। আর জেনেই বা লাভ কি? কারণ কোন সংগঠনের নেই কোন সঠিক এজেন্ডা। সকল সংগঠনের একটাই এজেন্ডা নিজেদের জাহির করা। কেউ ব্যস্ত সেলফি তুলতে, কেউ ফেসবুকে লাইভ নিয়ে ব্যস্ত, কেউবা ব্যস্ত দলীয় লেজুরবৃত্তি করতে যাতে দলীয় সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীদের ভাগ্য নিয়ে কথা বলার বা দর কষাকষি করার মত যোগ্য, নির্ভীক নেতা আমাদের নেই। যার হাত ধরে আমাদের এই পেশার বৈষম্যের মুক্তি ঘটতে পারে।
বলতে দ্বিধা নেই যে, যদিও এটা আমাার ব্যাক্তিগত মতামত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজকের এই প্রাপ্তি কিন্তু কোন সংগঠনের কোন কর্মসুচীর কারণে এসেছে বলে মনে হয়। যে যেভাবেই নিজেদের জাহির করুক না কেন। আপনি যদি বিবেকবান শিক্ষক হোন তাহলে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন।
Leave a Reply