বাংলায় একটা প্রবাদ আছে তা হলো, ‘যদি হয় সুজন, তেঁতুল পাতায় ন জন’ প্রবাদটি বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ এবং এর সার্বিক অর্থ যা তা হলো সুজন বা ভাল মানুষ যারা তারা প্রয়োজনে নয় জন একটা তেঁতুল পাতার সমান স্থানে সহাবস্থান করতে পারে। এখানে রূপকের মধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সীমিত সম্পদ থাকলেও শুধু সদিচ্ছা থাকলেই সমাজে সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব ।
প্রবাদটি উল্লেখ আমি এখানে এজন্য করলাম যে, যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে, আমাদের দেশের আর্থিক অবস্থা বর্তমানে খুব একটা ভাল স্থানে নাই। যদিও অনেকের মতে শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দাবি পুরনের ক্ষেত্রে এই যুক্তি প্রযোজ্য। তারপরে আমি ধরে নিলাম তা সত্যি তাহলে আজ বিকালে যে ভাবে মিডিয়ার সামনে ঘোষণা করা হল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রসংগ নিয়ে পরক্ষণেই আবার দেখছি যে, আগামীকাল আবার শিক্ষক নেতাদের সাথে সচিবালয়ে মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে এটাকে আপনি কি বলবেন। এই সিদ্ধান্তকে আপনি সম্মান জানবেন না ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবেন।
আরও পড়ুন…..
আজকের যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কালকে আবার মিটিংয়ে বসবেন তাহলে আগামীকাল মিটিংয়ের পর আজকের সিদ্ধান্ত সকলে একসাথে আগামীকাল প্রকাশ করলে কি এমন ক্ষতি হত। তাহলে তো আর এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না। আজকের এই ভুল কি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত, আজকের এই ভুল কি শুধুই ভুল নাকি সরকারকে প্রশ্নবোধক করার একটা কৌশল। আজকের এই অবস্থা কি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের গুরুত্ব না দেওয়ার নমুন যে, দেখ আমরা তোমাদের সিদ্ধান্ত তোমাদের সাথে আলোচনা ছাড়াই নিতে পারি তাতে তোমাদের কিছু করার নাই। এটাই যদি হয় তাহলে আগামীকালের মিটিংয়ে বসার ফলে আপনারাই বা কোথায় মুখ লুকাবেন। আসলে তো আপনাদের লুকাবার কিছুই নাই।
আগামীকালের মিটিং আশা করা যায় বিনা চাপে হচেছ না নিশ্চয় কোন না কোন চাপের কারণে সচিব সাহেব মিটিংয়ে বসতে বাধ্য হচ্ছেন। তাতে করে কি মেসেজ পরিস্কার হলো। কালকের মিটিংয়ের ফলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে কিনা তা বলা মুশকিল। তবে যে একটা ঝাকুনি দেওয়া গেল সচিবদের এটা নিশ্চিত।
এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যা তাহলো, আমাদের সরকারে যারা রয়েছেন তারা কেন বার বার সচিবদের এমন বিব্রতকর বিষয়গুলো কে মেনে নেয় তা কিন্তু বোধ্য গম্য নয়। এদেশের আমলার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সাথে অবহেলামুলক আচরণ আজ কোন নতুন বিষয় নয়। নতুন বিষয় যা তা হলো এবার তাদের কথা বলতে বাধ্য করা গেছে এটাই।
এখন দেখার বিষয় যা তা হলো নাটকের শেষ দৃশ্যের শুট নতুন করে হয় নাকি পূর্বের ধারণ করা অংশ রেখে দেওয়া হয় এটাই দেখার বিষয়। যদি নতুন করে রিশ্যুট করানো যেত তাহলে মোক্ষম জবাব হত নিংসন্দেহে।
Leave a Reply