সরকারি কর্মচারীগণ যোগদান কাল হলে প্রতি ৩ বছর পর শ্রান্তি বিনোদন ছুটি প্রাপ্য হয়। ছুটি প্রাপ্তির সাথে শ্রান্তি বিনোদন ভাতাও প্রাপ্য হয়ে থাকেন। এ ভাতা মূল বেতনের সমপরিমাণ হয়ে থাকে। যে সময়ে তিনি শ্রান্তি বিনোদনে যাবে ঐ মাসে তার মূল বেতন যা থাকবে সেই অনুসারে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্য হবেন।
শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা
এদেশে অনেকে আক্ষেপ করে বা হতাশায় বলে যে, সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। কথা শুনলে আমার কাছে কিন্তু মনে হয় দেশকে খাটো করে দেখা হচেছ। কিন্তু এদেশের যারা দায়িত্ববান পদে বসে আছে, যাদের উপর আমরা এদেশের নীতি নির্ধারণী নির্ধারণের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছি তাদের কান্ড জ্ঞানহীন, বিবেক বিবেচনা বর্জিত নীতির বাস্তবায়নের বিষয় যখন জনসম্মুখে আসে তখন উপরের কথাটির কিছুটা হলেও বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায় মনে হয়।
একটা বিষয় ভাল করে ভেবে দেখেন যে, আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বলে কোন ভাতা পাওয়া যায় তা কিন্তু জানতাম না। বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা তার বিদায়ী ঘোষণায় অনেকটা মহত্ব দেখিয়ে বলেন যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণও এখন থেকে এ ভাতা পাবেন। এতটুকু ঠিকই ছিল কিন্তু তারপরেই বর্তমানে শোনা যাচ্ছে আসল ব্যাপার। এখন শোনা যাচ্ছে যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা বরাদ্দ হতে যাচ্ছে প্রতি তিন বছর পর পর বেসিকে মাত্র ১০%। যেখানে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ বেসিকের শতভাগ।
তাহলে এটি কি তিনি বিখ্যাত হওয়ার জন্য ষোষণা করলেন না কুখ্যাত হওয়ার জন্য ঘোষণা করলেন এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন করাই যায়। দেখেন একটা ছোট গল্প বলি, স্বীকৃত ক্রিকেটে সর্বপ্রথম ওভারের প্রতি বলেই অর্থাৎ ৬ বলেই ৬টি ছক্কা মেরেছিল যে ব্যাটসম্যান তাকে দেখে খেলা শেষে প্যাভিলিয়ানের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ৬ বলেই ৬টি ছক্কা খাওয়া সেই বোলার মিটমিট করে হাঁসছিলেন তা দেখে ঐ ব্যাটসম্যান বোলারকে জিজ্ঞেস করল তুমি এতকিছুর পরও হাঁসছ কেন? তখন ঐ বোলার উত্তর দিল কি জানেন? সে বলল আজ থেকে তোমার সাথে সাথে আমিও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম। কারণ মানুষ যখন তোমার নাম নিবে সাথে আমার কথাও স্মরণ করবে।
গল্পটা আমি এই জন্য বললাম যে, এখন থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা যখনই শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা প্রাপ্তির সময় আসবে তখনই নেতিবাচক ভাবে হলেও বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টার কথা মনে করবে যে, উনি আমাদের হাস্যকর এক ভাতা উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন যা কিনা প্রতি তিন বছর পর পর একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক পাবে মাত্র ১২৫০/- টাকা আর একজন এপপিওভুক্ত কর্মচারী পাবে ৮৫০/-টাকা। এধরনের হাস্যকর তামাশা শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সাথেই মানায়।
তার মতো ব্যাক্তিত্বের কাছ থেকে এ ধরনের পরিকল্পনার কিভাবে আসে এটা ভেবে দেখার বা পূর্বের শিক্ষা মন্ত্রীর মতো করে বলতে ইচ্ছে করে এটা গবেষণা করে দেখতে ইচ্ছে করছে।
এ উপহার আসলেই মানায় For MPO Teacher’s Only.
Leave a Reply